স্টাফ রিপোর্টার: আক্রান্তের সংখ্যা কমেনি। তবে শত্রুকে চিহ্নিত করা গেল। তবে অ্যাডিনোর (Adenovirus) সংক্রমণের দাপট অন্তত মার্চ পর্যন্ত চলবে। তাই বাচ্চার পরিবারকে আরও সর্তক থাকতে হবে। রাজ্যজুড়ে সিংহভাগ বাচ্চার মধ্যে জ্বর-সর্দি-শ্বাসকষ্টের জন্য দায়ী ভাইরাসকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কাকে সত্যি করে এই শত্রুর নাম অ্যাডিনো। ভাইরাসের চরিত্র বদল হয়নি। যে প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে সেটি পুরনো। এবং আগেও ছিল।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, অন্তত মার্চ পর্যন্ত জ্বর-সর্দির দাপট চলতে পারে। তাই এবার একটু বেশি সর্তক থাকতে হবে। রবিবার আউটডোর বন্ধ ছিল। তাই রোগীর ভিড় ছিল না আউটডোরে। কিন্তু সোমবার সকাল থেকেই ফের উপচে পড়া ভিড় সরকারি হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক আউটডোরে। ভিড় উপচে পড়েছে ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে। বি সি রায় হাসপাতালের আউটডোরে অন্তত দেড় হাজার শিশু এদিন উপর্সগ নিয়ে হাজির হয়েছে। প্রায় সবারই শ্বাসকষ্ট।
[আরও পড়ুন: ‘গোমাংস খাওয়া নিয়ে যস্মিন দেশে যদাচার বিজেপির’, মাওরি-হোসাবলের মন্তব্যে কটাক্ষ উদ্ধবের]
একই অবস্থা মেডিক্যাল, এনআরএস, সরকারি জেলা হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকে। উপসর্গ একই। সমস্যাও এক। আগের তুলনায় সংখ্যাও বাড়ছে। দিনকয়েক আগে কেন্দ্রীয় সংস্থা নাইসেড আক্রান্ত বাচ্চাদের থুতু, সর্দির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এসেছে। নাইসেড সূত্রে খবর, অ্যাডিনো ভাইরাসের ৪০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং হয়েছে। দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ নমুনাতেই মিশে রয়েছে ভাইরাসের একাধিক স্ট্রেন। মূলত, অ্যাডিনো-৩ এবং অ্যাডিনো-৭, এই দুটো স্ট্রেন মিশে রয়েছে। তবে পুরোটাই অ্যাডিনো নয়। সমানভাবে আগ্রাসী আক্রমণ শানাচ্ছে রাইনো ভাইরাস, আরএসভি ভাইরাস। আবার আরএসভির মধ্যে এ, বি -দুটি প্রজাতিও সমানভাবে শিশুদের শ্বাসনালির উপরের অংশকে আটকে দিচ্ছে। ফলে বাচ্চার স্বাভাবিক শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বিরোধী সাংসদের আচরণে ক্ষুব্ধ ধনকড়, ১২ জনের বিরুদ্ধে সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ]
শিশু বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ২০১৮ সালেও অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়েছিল। ‘‘ঘটনা হল, ঋতু পরিবর্তনের সময় ফিবছরই বাচ্চাদের মধ্যে জ্বর-সর্দি-পেট খারাপ হয়। কিন্তু এবার যেন লাগামছাড়া,’’ বলেছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জয়দেব রায়। তাঁর কথায়, এতদিন যেভাবে চিকিৎসা হয়েছে,সেই একই পদ্ধতিতেই চিকিৎসা করতে হবে। বাচ্চার জ্বর, হাঁচি, কাশি হলেই মা-বাবাকে সর্তক থাকতে হবে।
