সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য অন্যতম দায়ী হিসেবে ধরা হচ্ছে ডেল্টা স্ট্রেনকে (Delta variant)। ভারতে প্রথম হদিশ মিলেছিল মারণ ভাইরাসের B.1.617.2 রূপভেদটির। এইমসের (AIIMS) গবেষকদের দাবি, কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিনের একটি অথবা দুটি ডোজ নিলেও শরীরে সংক্রমণ ছড়াতে পারে ডেল্টা স্ট্রেন। কেবল এইমসই নয় একই দাবি ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের গবেষকদেরও।
ওই দুই সংস্থা এই গবেষণার জন্য মোট ৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে। তার মধ্যে ১০ জন কোভিশিল্ড ও ৫৩ জন কোভ্যাক্সিনের টিকার ডোজ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩৬ জনই টিকার (COVID vaccine) দু’টি ডোজ নিয়ে নিয়েছিলেন। দেখা গিয়েছে দু’টি ডোজ নিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে ৬০ শতাংশ ও টিকার একটি ডোজ নেওয়ার পর ৭৬.৯ শতাংশ জনের শরীরেই মিলেছে ডেল্টা স্ট্রেন! তবে এই নিরীক্ষণের এখনও বিস্তৃত ও চূড়ান্ত পর্যালোচনা করা হয়নি।
[আরও পড়ুন: এবার অনলাইনে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট সংশোধন করতে পারবেন আপনিও, জানেন কীভাবে ?]
গত অক্টোবরে ভারতে প্রথম বার সন্ধান মেলে করোনার এই শক্তিশালী প্রজাতির। গবেষণায় দেখা গিয়েছে অন্যান্য স্ট্রেনের চেয়েও ঢের দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই স্ট্রেন। আলফা এবং বিটার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি সংক্রমণের ক্ষমতা রয়েছে ডেল্টার। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করেছেন ডেল্টা স্ট্রেন সম্পর্কে।
কিন্তু কেন এত বিপজ্জনক এই নয়া স্ট্রেন? গবেষকরা জানাচ্ছেন, অন্য দুই স্ট্রেনের যে জিনগত গঠন তাও নিজের শরীরে ধারণ করে রেখেছে এই স্ট্রেন। এর ফলে তার পক্ষে মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সহজেই হারিয়ে দেওয়া সম্ভব। যে কারণে এত দ্রুত সংক্রমিত করতে পারে ডেল্টা স্ট্রেন।
প্রসঙ্গত, করোনাকে রুখতে টিকাকরণের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কোনও পথ নেই। একমাত্র কোভিড বিধি মেনে চলা ও টিকাকরণের মাধ্যমেই সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি তৈরি হয়। সেই কারণে গবেষকরা টিকাকরণের উপরেই জোর দিচ্ছেন।