shono
Advertisement
Anti Venom

রাজ্যের সাপে কামড়ানো রোগীদের জন্য 'নিষ্ক্রিয়' ভিনরাজ্যের অ্যান্টিভেনাম! সমাধানের খোঁজে স্বাস্থ্যদপ্তর

বাংলার সাপের বিষ দিয়ে অ্যান্টি ভেনাম তৈরি করতে ডাকা হচ্ছে টেন্ডার।
Published By: Tiyasha SarkarPosted: 04:00 PM Feb 10, 2025Updated: 04:00 PM Feb 10, 2025

অভিরূপ দাস: তামিলনাড়ুর চন্দ্রবোড়ার বিষ থেকে তৈরি অ‌্যান্টিভেনাম কাজ করছে না বাংলার সাপে কাটা রোগীদের ক্ষেত্রে। যে কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না বঙ্গে সাপের কামড়ে মৃত‌্যু। ঝোপ-ঝাড়-জঙ্গলে তাই সাবধান থাকাই শ্রেয়, মনে করছে স্বাস্থ্যদপ্তর। পাশাপাশি বাংলার সাপের বিষ দিয়ে অ্যান্টি ভেনাম তৈরি করতে ডাকা হচ্ছে টেন্ডার।

Advertisement

তথ‌্য প্রকাশ করে স্বাস্থ‌্যদপ্তর জানিয়েছে, এই ২০২৫-এও বাংলায় তিনশো মানুষ মারা যাচ্ছেন সাপের কামড়ে। অর্থাৎ প্রতিমাসে পঁচিশ জনের মৃত‌্যু হচ্ছে বিষনাগ দংশনে। কোন সাপের কামড়ে বাংলায় মৃত‌্যু সর্বাধিক? সে তালিকাও দিয়েছে স্বাস্থ‌্যদপ্তর। মূলত চন্দ্রবোড়া, কালাচ, গোখরোর কামড়েই বাংলায় মৃত‌্যু সর্বাধিক। তবে তালিকায় রয়েছে নতুন নামও। বাংলার সর্পকুলে নতুন আতঙ্ক ‘স স্কেলড ভাইপার’ (saw scaled viper)। সর্পবিশেষজ্ঞ বিশাল সাঁতরা জানিয়েছেন, এ সাপ বাংলায় খুব একটা দেখা যেত না। মধ‌্য এশিয়া-আফ্রিকার শুকনো আবহাওয়ার সে সাপই এখন আখছার চোখে পড়ছে বাংলার বনে-জঙ্গলে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ‌্যদপ্তরের নয়া নোটিসে মারণ সাপের তালিকায় জ্বলজ্বল করছে তার নাম। সাপের বিষের কামড়ের প্রতিষেধক তৈরি হয় সেই সাপের বিষ দিয়েই। কিন্তু এখানেই হচ্ছে গন্ডগোল। দেখা যাচ্ছে, ভৌগোলিক অবস্থা অনুযায়ী সাপের বিষের চরিত্র বদলে যাচ্ছে। ডা. দয়ালবন্ধু মজুমদার জানিয়েছেন, বাংলায় কাউকে গোখরো সাপ কামড়ালে তামিলনাড়ুর গোখরো সাপের বিষ দিয়ে তৈরি প্রতিষেধক তার শরীরে কাজ করবে না। যে কারণেই সাপুড়ে খুঁজছে স্বাস্থ‌্যদপ্তর। ডাকা হয়েছে টেন্ডার। এমন সংস্থা চাই যারা বাংলার সাপ ধরে তার বিষ দিয়ে প্রতিষেধক তৈরি করবে।

প্রতিবছর বাংলার সমস্ত হাসপাতাল মিলিয়ে প্রায় কুড়ি হাজার বিষধর সাপের কামড়ের রোগী আসে। যার মধ্যে মারা যান তিনশোজন। এই মৃত‌্যু সংখ‌্যাকে কমাতে চাইছে স্বাস্থ‌্যদপ্তর। মূলত অ‌্যান্টি স্নেক ভেনাম সিরাম দিয়ে চিকিৎসা করা হয় সাপে কাটা রোগীর। স্বাস্থ‌্যদপ্তর স্বীকার করেছে, বাংলায় ব‌্যবহৃত অধিকাংশ সিরামই মূলত ভিনরাজ্যের সাপের বিষ থেকে তৈরি। ফলে বিষের চরিত্র মিলছে না। অ‌্যান্টি ভেনাম সিরাম কাজও করছে না তেমন। স্বাস্থ‌্য দপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন, বাংলার সাপ ধরে তার বিষ দিয়ে এভিএস তৈরি করতে হবে। তবে তা দ্রুত কাজ করবে বাংলার বিষধর সাপের বিষ তাড়াতে। সাপে কাটা রোগীর ভিড় কেমন? তা বলে দিচ্ছে স্বাস্থ‌্য দপ্তরের অ‌্যান্টি ভেনাম সিরামের প্রয়োজনীয়তাই।

নোটিসে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে বছরে ২০ হাজার বাক্স অ‌্যান্টি স্নেক ভেনাম সিরাম প্রয়োজন। এছাড়াও প্রয়োজন ১২ হাজার বাক্স অ‌্যান্টি স্নেক ভেনাম সিরাম (লিক‌ুইড)। সর্প বিশেষজ্ঞ বিশাল সাঁতরা জানিয়েছেন, অ‌্যান্টি স্নেক ভেনাম সিরাম (লায়োফিলাইসড রিকনস্টিটিউটেড) টা পাউডারের আকারে থাকে। এটার জন‌্য কোনও কোল্ড চেন-এর প্রয়োজন নেই। ঘরের তাপমাত্রাতেই রাখা যায়। তবে প্রতিটি প‌্যাকেট ‘রিকনস্টিটিউট’ করার জন‌্য দশ মিলিলিটার পরিশুদ্ধ জলের প্রয়োজন। অ‌্যান্টি স্নেক ভেনাম সিরাম লিক‌ুইড যেটা, সেটার জন‌্য নির্দিষ্ট তাপমাত্রার প্রয়োজন। চার ডিগ্রি থেকে আট ডিগ্রি তাপমাত্রার মধে‌্য রাখতে হবে এই তরল অ‌্যান্টি স্নেক ভেনাম সিরাম। সাপে কাটার একশো মিনিটের মধে‌্য দুটি ওষুধই ইঞ্জেকশনের মাধ‌্যমে দিতে হবে সাপে কাটা রোগীকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • তামিলনাড়ুর চন্দ্রবোড়ার বিষ থেকে তৈরি অ‌্যান্টিভেনাম কাজ করছে না বাংলার সাপে কাটা রোগীদের ক্ষেত্রে।
  • যে কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না বঙ্গে সাপের কামড়ে মৃত‌্যু। ঝোপ-ঝাড়-জঙ্গলে তাই সাবধান থাকাই শ্রেয়, মনে করছে স্বাস্থ্যদপ্তর।
  • পাশাপাশি বাংলার সাপের বিষ দিয়ে অ্যান্টি ভেনাম তৈরি করতে ডাকা হচ্ছে টেন্ডার।
Advertisement