সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার মধ্যরাতে বিজেপি নেতা তথা পাঞ্জাবের প্রাক্তন মন্ত্রী মনোরঞ্জন কালিয়ার জলন্ধরের বাসভবনের সামনে বোমাবাজি, গ্রেনেড হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে মূল অভিযুক্ত জিষাণ আখতার। পুলিশ সূত্রে খবর, জিষাণ লরেন্স বিষ্ণোই ঘনিষ্ট। তিনি এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত। তদন্তকারীদের আরও একটি সূত্রের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরেই পাঞ্জাবের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য নানা কার্যকলাপ চালাচ্ছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। এক্ষেত্রে সীমান্তের ওপারে বসে বিজেপি নেতার উপর হামলার পরিকল্পনা করে থাকতে পারে তারাই।

বাড়ির কাছে বিস্ফোরণের পর সংবাদমাধ্যমকে বিজেপি নেতা বলেন, ”সোমবার রাত ১টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় কিছু দুষ্কৃতী এই হামলা চালায়। হঠাৎ বজ্রপাতের মতো ব্যাপক শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। পরে জানতে পারি বিস্ফোরণ ঘটেছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বোমাটি বিজেপি নেতার বাড়ির প্রবেশপথের কাছে ছোড়া হয়। বিস্ফোরণের জেরে বাড়ির সামনের একটি দরজা ভেঙে যায়। গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি ই-রিকশা চড়ে এসেছিল দুষ্কৃতীরা বোমা ছোড়ার পর ওই রিকশায় চড়েই চম্পট দেয় তাঁরা।
হামলা প্রসঙ্গে জলন্ধরের পুলিশ কমিশনার ধনপ্রীত কৌর জানান, “সোমবার রাত ১টা নাগাদ বিস্ফোরণের খবর আসে আমাদের কাছে। সেইমতো দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে।” এই ঘটনায় জিষাণ আখতার গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রশ্ন উঠছে, এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকীর পর এবার পঞ্জাবের এই বিজেপি নেতাকে ‘মেরে ফেলার’ ছক করছে লরেন্সের দল? যদিও ধন্দে রয়েছে পুলিশ।