সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজব দুনিয়া। কত কীই না লুকিয়ে আছে এর অন্দরে। ঠিক যেন ছোটবেলার সেই পুতলটার মতো। যত পেট খুলবে, ততই আরও ছোট পুতুল বের হয়ে আসবে। প্রকৃতির পরতে পরতে রয়েছে বিস্ময়। এতে আবার অনেক ক্ষেত্রে মানুষের অবদানও রয়েছে। এই যেমন ধরুন আহমেদাবাদের লাকি রেস্তরাঁ (Ahmedabad Lucky Restaurant)। গোটা রেস্তরাঁটিই কবরস্থানে তৈরি। লাল দরওয়াজা এলাকায় অবস্থিত এই অদ্ভূত রেস্তরাঁতে এই কারণেই বেশিরভাগ মানুষ খেতে আসেন। মৃত মানুষের সমাধির পাশেই খাবার পরিবেশন করা হয়। সমাধিগুলি খুবই যত্নসহকারে রাখা হয়। প্রতিদিন রেস্তরাঁ কর্মীরা তা পরিষ্কার করে সাজিয়ে রাখেন।
ভাসমান ফুমডিসের জন্য বিখ্যাত মণিপুরের লোকতাক লেক (Loktak Lake)। মাটির, গাছপালার আর নানা অর্গানিক ম্যাটার পুঞ্জীভূত হয়ে লেকের উপর দ্বীপপুঞ্জের মতো স্থলভাগ তৈরি করে। একে ফুমডিস বলে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান ফুমডিস (Phumdis) লোকতাক লেকে রয়েছে। লোকতাকেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান পার্ক রয়েছে। কেইবুল লামজাও ন্যাশনাল পার্ক (Keibul Lamjao National Park)।
[আরও পড়ুন: পর্যটকদের জন্য বন্ধ গোয়ার দরজা! জেনে নিন কবে ঘুরতে যাওয়া সম্ভব]
কর্ণাটকের হেমাবতী নদীর তীরেই রয়েছে রোজারি চার্চ (Rosary Church)। বর্ষার সময় এই চার্চ জলে চার্চের প্রায় জলে ডুবে যায়। আবার বর্ষাকাল চলে গেলেই স্বমহিমায় নদীর তীরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে। আশ্চর্যের বিষয় হল, জলের ফলে এখনও পর্যন্ত চার্চের দেওয়াল বা স্তম্ভগুলির কোনও ক্ষতি হয়নি।
কালিকট থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে কোডিনহি গ্রাম। যমজদের গ্রাম হিসেবে সারা বিশ্বে খ্যাত এই গ্রামটি। বর্তমানে গ্রামে অন্তত ২০০ জোড়া যমজ ভাই-বোন রয়েছে। যমজের জন্মের এই আশ্চর্য ঘটনা বিশ্বে কেবল কোডিনহিতে নয়, আরও দু’টি এলাকাতেও আছে৷ একটি নাইজেরিয়ার ইগবো ওরা এলাকা। আরেকটি ব্রাজিলের ক্যানডিডো গডোই নামের গ্রাম৷