সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মরশুমি সর্দি-কাশি, জ্বর, বমির মতো অসুখে জেরবার অনেকেই। আর এই পরিস্থিতিতে প্রায় মুড়ি-মুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotic) খাচ্ছেন অনেকেই। যা ডেকে আনছে বিপদ। তাই অবিলম্বে এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার নিদান দিচ্ছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নোটিস জারি করেছে আইএমএ। তাতে পরিষ্কার বলা হয়েছে, চিকিৎসকরাও যেন অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব না করেন। এবং রোগীরাও যেন ইচ্ছেমতো এই ওষুধ না খান।
[আরও পড়ুন: ‘মানুষ জবাব দিতে শুরু করেছে’, ৪২ দিন পর জেল থেকে বেরিয়ে স্বমেজাজে নওশাদ]
ঠিক কী জানাচ্ছে আইএমএ? ‘জ্বর বাড়ছে, অ্যান্টিবায়োটিক এড়িয়ে চলুন’ এই শীর্ষক নোটিসে বলা হয়েছে, সর্দি-কাশি, বমি, গলা ব্যথা, গা-হাত-পায়ে ব্যথা, ডায়েরিয়ার মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে বহু রোগীর ক্ষেত্রেই। কিন্তু সংক্রমণ এক সপ্তাহের বেশি থাকছে না। জ্বর কমে যাচ্ছে তিন দিনেই। কাশি হয়তো থাকছে সপ্তাহ তিনেক। সাধারণ ভাবে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারির সময়কালে এই অসুখের দাপাদাপি চলে। সাধারণ ভাবে পঞ্চাশোর্ধ্ব কিংবা পনেরো বছরের নিচে এই ধরনের সংক্রমণ লক্ষ করা যায়।
কিন্তু এই ধরনের সংক্রমণকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আইএমএ জানাচ্ছে, এক্ষেত্রে সাধারণ চিকিৎসাই যথেষ্ট। উপসর্গ অনুযায়ী ওষুধ দিলেই হবে। কিন্তু এখন সকলেই অ্যাজিথ্রোমাইসিন ও অ্যামক্সিক্ল্যাভের মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন। এত বেশি অ্যান্টিবায়োটিক খেলে জীবাণুরা তার বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে অনাক্রম্যতা গড়ে তুলবে। ফলে যখন সত্য়িই কঠিন সংক্রমণ হবে, সেই সময়ে দেখা যাবে অ্যান্টিবায়োটিক কাজই করছে না। তাই অযথা অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়ারই নিদান দিচ্ছে আইএমএ।