সুমন করাতি, হুগলি: গুপো সন্দেশ নিয়ে নতুন করে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করল গুপ্তিপাড়ার মানুষ। জি আই তকমা হয়তো খুব দূরে নয়, এমনটাই মনে করছেন তাঁরা। দিন সাতেকের মধ্যেই জিআই-এর জন্য আবেদন করা হবে বলে খবর।
দীর্ঘদিন ধরে হুগলির গুপ্তিপাড়ার বিখ্যাত গুপো সন্দেশের জিআই (জিয়োগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন) তকমার দাবি উঠছিল। এ ব্যাপারে প্রথামাফিক আবেদনের জন্য ৪৮ জন বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে গুপ্তিপাড়া ২ পঞ্চায়েতের উদ্যোগে সম্প্রতি তৈরি হয় ‘গুপ্তিপাড়া গুপো সন্দেশ উন্নয়ন সমিতি’। সংগঠনের রেজিস্ট্রেশনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। এবার রেজিস্ট্রেশন এল সমিতির হাতে। এর ফলে ওই সন্দেশের জিআই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করতে আর বাধা রইল না।
[আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের জল্পনায় ইতি? হার্দিক ফর্মে ফিরতেই নাতাশার ইনস্টায় ফিরল যুগলের ছবি]
এবিষয়ে সংগঠনের সম্পাদক অতনু কর্মকার বলেন, ‘‘এবার সমিতির প্যান কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে দিন সাতেকের মধ্যে জিআই-এর জন্য আবেদন করব। আশা করি, দ্রুত পাব।’’ জনশ্রুতি বলছে, এই মিষ্টি তৈরির কারবারিদের বাস ছিল বেহুলা এলাকায়। তাঁদের হাতেই তৈরি হয় মাখা সন্দেশ। কিন্তু মাখা সন্দেশ তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই এতে পাক দিয়ে তৈরি হয় গুপো সন্দেশ। দু’টি সন্দেশ জুড়ে তৈরি হয় বলে অনেকে একে জোড়া সন্দেশও বলেন। এই সন্দেশের জিআই স্বীকৃতির জন্য গবেষণায় সহযোগিতা করছেন স্থানীয় ইতিহাস চর্চাকারী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘‘এবার জিআই-এর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করবে সমিতি। স্বীকৃতি পেলে এই সমিতিই মিষ্টিটির যাবতীয় দেখভাল করবে। এর ফলে ভবিষ্যতে বিশ্বের দরবারে গুপ্তিপাড়ার নাম উজ্জ্বল হবে।’’ গুপ্তিপাড়ার এক বাসিন্দা অতনু দাস বলেন, আমাদের এখানের এই সন্দেশের নাম সারা বাংলা চেনে কিন্তু জি আই তকমা পাওয়াটা শুধু বাকি ছিল। এবার যদি এই জিআই তকমা পাওয়া যায়, শুধু আমাদের এলাকার মানুষ না হুগলি জেলার মানুষ খুশি হবে।