সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘুম ভেঙে উঠে অফিসে দৌড়। বাড়ি ফিরেও ব্যস্ত অফিসের কাজে। কেরিয়ারের ইঁদুরদৌড়ে জয়ী হতে গিয়ে জলাঞ্জলি দাম্পত্য জীবনের। স্বামীর সঙ্গে একসঙ্গে থাকছেন ঠিকই। তবে দু’জনের মধ্যে একটু একটু করে বাড়ছে দূরত্ব। ঝগড়াঝাটি, মনখারাপ লেগেই রয়েছে। এভাবেই কোনও একদিন বিচ্ছেদের পথে এগিয়ে যান অসুখী দম্পতিরা। আপনার অবস্থাও কি একইরকম? সম্পর্ক কি ক্রমশই উষ্ণতা হারাচ্ছে? আবারও সম্পর্কের রসায়নকে চাঙ্গা করতে তুলতে চাইলে মেনে চলুন কয়েকটি বাস্তু টিপস। দেখবেন এভাবেই ফিরে আসছে দাম্পত্য জীবনে শান্তি।
আপনার স্ত্রী কি হঠাৎ করে রেগে যান? উত্তর হ্যাঁ হলে বাস্তশাস্ত্র অনুযায়ী আপনার বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে তৈরি করুন রান্নাঘর। উত্তর-পূর্ব দিকে গ্যাস রাখুন। রান্নাঘরের দেওয়ালের রং কমলা হওয়াই ভাল। তাতেই দেখবেন আপনার স্ত্রীর খিটখিটে মেজাজ দূর হয়েছে। অনেক বেশি রোম্যান্টিক হয়ে গিয়েছেন তিনি। ঠিক বিয়ের প্রথম দিনগুলির মতো রঙিন হয়ে উঠেছে আপনাদের দাম্পত্য জীবন।
শোওয়ার ঘর অবশ্যই তৈরি করুন বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে। বিছানা রাখুন দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে। ভুলেও অন্যদিকে বিছানা রাখবেন না। তাতে কিন্তু বিপদ হতে পারে। ওই ঘরেই একসঙ্গে ঘুমোতে যান দু’জনে। দেখবেন দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক আরও গাঢ় হবে। আগের থেকে হয়তো অনেক বেশি রঙিন হয়ে যাবে আপনার জীবনের পথচলা।
[আরও পড়ুন: পুজোর পর শুকনো ফুল ফেলে দেন? ব্যবহার জানলে আপনি চমকে যাবেন]
বাড়িতে রড আয়রনের খাট ভুলেও রাখবেন না। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, এই বিছানায় ঘুমোলে পজিটিভ এনার্জির সঞ্চার হয় না বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। তাই কাঠের বিছানায় দু’জনে রাত কাটানোর চেষ্টা করুন। দেখবেন তাতে আপনার সম্পর্ক অনেক বেশি সুন্দর হবে।
আপনি কি জানেন বাড়িতে রাখা ল্যাম্পশেডের মাধ্যমে আপনার প্রেম জীবনে পরিবর্তন আসতে পারে। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, প্যাস্টেল রংয়ের ল্যাম্পশেড রাখুন। বাড়িতে রাখা সোফার পাশেই থাক ল্যাম্পশেড। তার গায়ে যদি ফুল, লতাপাতার ডিজাইন থাকে তাহলে আপনাদের দাম্পত্য জীবন আরও মধুময় হয়ে উঠবে।
বিশ্বাস করুন আর না করুই। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী এই টিপসগুলি মেনে চলুন। দেখবেন প্রেমের জোয়ারে ভাসছেন দু’জনে। সম্পর্কের শীতলতা কাটিয়ে দেখবেন হয়তো রোজ নতুন করে দু’জন দু’জনের প্রেমে পড়ছেন।
The post স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি? বাস্তুশাস্ত্র মেনে এভাবে ঘর সাজালে আসবে দাম্পত্য জীবনে শান্তি appeared first on Sangbad Pratidin.