সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর প্রায় শেষ হতে চলল। সামনেই বড়দিন, বর্ষবরণ। এই কয়েকটা দিন সকলেরই নানারকম প্ল্যান থাকে। কেউ ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন, কেউ আবার বাড়িতেই বন্ধুদের সঙ্গে মেতে উঠতে ভালোবাসেন। কিন্তু উৎসব উপলক্ষে প্ল্যান যাই করুন না কেন, আসল সমস্যা তো কাজের চাপ আর ছুটি নিয়ে। যতই উৎসবের মরশুম হোক না কেন, অফিস-ডেডলাইন তো তা শুনবে না! ফলে কাজ করতেই হবে। আর সেই কারণে অধিকাংশ সময়ই দীর্ঘদিনের প্ল্যানও কাটছাঁট করতে বাধ্য হতে হয়। কিন্তু সবটা একসঙ্গে সামাল দেওয়া কিন্তু খুব একট কঠিন নয়। ব্যালেন্স করতে পারলে সব সম্ভব। রইল সেই টিপস।
১. উৎসবের মরশুমে কাজ করতে কারই বা ভালো লাগে! ফলে কাজের গতি কমে যায়। স্বাভাবিকভাবেই কাজ সেরে বেরতে দেরি হয়ে যায়। প্রথমেই এই স্বভাবটা বদলে ফেলতে হবে। সঠিক টাইমে অফিস যেতে হবে, বেরতেও হবে ঠিক সময়ে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতেই হবে। প্রয়োজনে অফিসে পৌঁছেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েদিন, এদিন অতিরিক্ত সময় থাকা আপনার পক্ষে সম্ভব নয়। যাবতীয় যা কাজ তা নির্দিষ্ট শিফটের মধ্যেই শেষ করবেন।
প্রতীকী ছবি
২. যারা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করেন তাঁদের ক্ষেত্রে রয়েছে ফাঁকা সময়ে কাজ এগিয়ে রাখার সুযোগ। উৎসবের দিনগুলোর জন্য বসের সঙ্গে কথা বলুন। যদি সম্ভব হয় ভোরের দিকে বা বেশি রাতে বসে পড়ুন ল্যাপটপ নিয়ে। তবে হ্যাঁ মনে রাখতে হবে, অফিসের প্রয়োজনেও কিন্তু একইভাবে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে আপনাকে।
৩. আর পাঁচটা দিনের থেকে অনেকটা আলাদা উৎসব। তাই ঘুম থেকে উঠেই ঠিক করে নিতে হবে যে কোন কোন কাজ আজ না করলেই নয়। নিজের প্রায়োরিটি লিস্টটা যদি সঠিকভাবে তৈরি করে ফেলা যায়, দেখবেন বাকি সমস্যা ভ্যানিশ!
৪. তবে কাজের চাপ, উৎসবকে ব্যালেন্স করতে গিয়ে নিজের যত্ন নিতে ভুললে কিন্তু হবে না। বেশি করে জল খেতে হবে। বুঝে শুনে খাওয়া দাওয়া করতে হবে। অন্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে ভেস্তে যাবে সব প্ল্যান।
৫. সত্যিকারের ব্যালেন্স মানে সবদিকেই একইরকম ভাবে গুরুত্ব দিতে। অর্থাৎ আপনি যতটা এফোর্ট অফিসের কাজে দিচ্ছেন, ততটাই ব্যক্তিগত জীবনকে, নিজেকেও দিতে হবে। কাজ থেকে বেরিয়ে গেলে চেষ্টা করুন অফিস থেকে পুরোপুরি নিজেকে ডিসকানেক্ট করার। ফোন, মেসেজ, ইমেল আবার পরে। যতটুকু সময় প্রিয়জনদের জন্য ধার্য, সেটার পুরোটা তাঁদের দিন। দেখবেন, তাতে নিজেকেও রিফ্রেশ লাগবে। পরের দিন কাজের এনার্জিও পাবেন।
