সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবে সবে মুখে হালকা গোঁফ, দাড়ির আবির্ভাব। শৈশব থেকে কৈশোরে পা। এ বয়স যে বেশ দুঃসহ, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কৈশোরের কিছু অভ্যাস একজন মানুষের সারাজীবনই প্রায় থেকে যায়। তার মধ্যে অন্যতম হল ধূমপান। ঠোঁটের মাঝে সিগারেট নিয়ে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার অভ্যাস যে এই বয়সেই তৈরি হয়। আজীবন এই অভ্যাস থাকলে শারীরিক ক্ষতি যে হবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই যত তাড়াতাড়ি এই অভ্যাস বাদ দেওয়াই ভাল। কিন্তু কিশোর সন্তানের ধূমপানের অভ্যাস কীভাবে ছাড়াবেন, তা বুঝতে পারছেন না তাই তো? আপনার জন্য রইল টিপস।
আলোচনায় সমস্ত সমস্যারই সমাধান হয়। ধূমপান নিয়ে নিজের সন্তানের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন। ধূমপানের ফলে শরীরে ঠিক কতটা ক্ষতি হয়, তা বোঝান। প্রয়োজনে ইন্টারনেট ঘেঁটে তাকে ছবি দেখান। শুধু ধূমপানই নয়। ধূমপায়ীদের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকাও যে বিশেষ স্বাস্থ্যকর নয় তাও বোঝান সন্তানকে।
[আরও পড়ুন: গাড়ির মধ্যেই পুলিশ অফিসারের কোলে উঠে সঙ্গমের আবদার তরুণীর! তারপর…]
বহুক্ষেত্রেই দেখা যায় অনেক কিশোর কিশোরীই ধূমপান করতে চায় না। কিন্তু বন্ধুবান্ধবদের জোরাজুরিতে মাঝেমধ্যে একটি-দু’টি করে সিগারেট কিংবা ই-সিগারেট খেতে খেতে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তাই নিজের সন্তানকে না বলতে শেখান। নিজের ইচ্ছার বাইরে গিয়ে বন্ধুবান্ধবদের আবদারে সায় দেওয়ার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই তা শেখান।
বিজ্ঞাপন কিশোর মনে প্রভাব ফেলে তাড়াতাড়ি। সিগারেটের বিজ্ঞাপনে অনেক ক্ষেত্রে যিনি ধূমপায়ী তার ইমেজকে বড় করে দেখানো হয়। তাই ধূমপানের প্রতি অতি সহজেই আকর্ষণ তৈরি হয়। কিশোর কিশোরীকে বোঝান বিজ্ঞাপনে যা দেখায় তা অনেক সময় অতিরঞ্জিত হয়ে থাকে। সিগারেটের বিজ্ঞাপনে ধূমপায়ীকে দেখানো হলে সতর্কতা হিসাবে ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাবের কথা উল্লেখও যে থাকে, তা বোঝান।
কিশোর কিশোরীদের কাছে আয়ের তেমন কোনও উৎস নেই। অভিভাবকরাই তাদের মাসের খরচ চালানোর জন্য টাকা দিয়ে থাকেন। সন্তানকে বোঝান সারা বছর ধরে সিগারেট খেতে কত টাকা খরচ হয়। ওই টাকা ধূমপানে খরচ না করলে কত কিছু কেনা সম্ভব তা বুঝিয়ে বলুন।
বর্তমানে বাবার পাশাপাশি অনেক মা-ও ধূমপানে অভ্যস্ত। আর বাচ্চাদের অভ্যাসও সাধারণত বাবা-মাকে দেখেই তৈরি হয়। তাই তাদেরও ধূমপানের অভ্যাস তৈরি হওয়া অসম্ভব কিছুই নয়। তা সত্ত্বেও নিজের ছেলেমেয়েকে ধূমপান থেকে দূরে রাখতে চাইলে তার হাতের কাছে সিগারেট রাখবেন না।