সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেসরকারি চাকরির যে কোনও নিশ্চয়তা নেই, তা সকলেরই জানা। তবে তাও আচমকা চাকরি হারানোর যন্ত্রণা সহ্য করা বড্ড কঠিন। অনেকক্ষেত্রে এমনও হয় যে, আজ অফিস গিয়ে আর পাঁচটা দিনের মতোই কাজ করলেন। বাড়ি ফিরে হয়তো মেইল পেয়ে জানলেন, আগামিকাল থেকে যেতে হবে না অফিসে। স্বাভাবিকভাবেই মাথায় বাজ পড়ার পরিস্থিতি। কারণ, সকলেই কিছু না কিছু দায়িত্ব তো থাকেই। কিন্তু জানেন কি ছাঁটাইয়ের আগেই কর্তৃপক্ষের আচরণই বুঝিয়ে দেয় তাঁদের পরিকল্পনা। শুধু বুঝে নিতে পারলেই আগাম সতর্ক হতে পারবেন যে কেউ। চলুন, আজ জেনে নেওয়া যাক সেগুলো।
১. যদি কোনও সংস্থা গণ ছাঁটাইয়ের ভাবনাচিন্তা করে, তাহলে তারা নিয়োগের গতি মন্থর করে দেয়। অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবে যে পরিমাণে নিয়োগ হয়, যদি ছাঁটাইয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে নতুন করে নিয়োগ সাধারণত হয় না।
২. হতেই পারে বসের সঙ্গে আপনার অশান্তি হয়েছে। তা চাকরি যাওয়ার জন্য কারণ হিসেবে যথেষ্ট। কিন্তু বুঝবেন কি করে? হঠাৎ করেই কি অতিরিক্ত দুর্ব্যবহার করছেন বস? সামান্য ভুলকে বড় করে দেখছেন বা আপনার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন? বুঝে নিন চাকরি হারাতে পারেন যে কোনও সময়।
৩. যদি কোম্পানি মনে করে আপনাকে আর তাঁদের প্রয়োজন নেই, তাহলে বদলে যাবে আচরণ। সময়ের আগেই ছুটি দিলে কিন্তু তা যথেষ্ট ভাবনার। অসুবিধার কথা জানিয়ে মাইনে কমিয়েও দেওয়া হতে পারে।
৪. অনেকক্ষেত্রে আবার সংস্থার সমস্যা চলছে জানিয়ে দেওয়া হয় আগেভাগেই। ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনার কথাও জানানো হয় কর্মীদের। একথা জানলে সতর্ক হয়ে যাওয়াই ভালো।
এক্ষেত্রে কী করবেন? বেশি ভাবনাচিন্তা না করে নিজের বায়োডাটা আপডেটেট রাখুন। বিভিন্ন কোম্পানিতে জমা দিত। যাতে ছাঁটাইয়ের আগেই নিজে ছাড়তে পারেন চাকরি।
