সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখুন কী কাণ্ড। গোটা মুম্বই জুড়ে সবচেয়ে বেশি অর্ডার হয়েছে কন্ডোম! না, কোনও গুঞ্জন নয়। বরং সুইগির করা নতুন সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য হইচই ফেলে দিয়েছে গোটা শহরে।
কাণ্ডটা একটু বিশদে বলা যাক। সম্প্রতি সুইগি তাঁদের নিত্যপ্রয়োজনীও দ্রব্য অর্ডারের অ্যাপ ইনস্টামার্টের ডেলিভারি রেকর্ডের উপর নির্ভর করে একটি সমীক্ষা করেছেন। প্রধানত, মুম্বই, দিল্লি, হায়দরাবাদ, চেন্নাইয়ের বিক্রির উপর নির্ভর করে এই সমীক্ষা চালাল সুইগি (Swiggy)।
সুইগির এই সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে সর্বাধিক কন্ডোম অর্ডার হয় মুম্বইয়ে। হিসাব বলছে গত বছরের তুলনায় ৫৭০ গুণ বেশি কন্ডোম অর্ডার হয়েছে মুম্বইয়ে। অন্যদিকে, অন্যান্য শহরে অর্ডার হয়েছে স্যানিটারি ন্যাপকিনের মতো প্রয়োজনীও দ্রব্য।
[আরও পড়ুন: গাড়ির মধ্যেই পুলিশ অফিসারের কোলে উঠে সঙ্গমের আবদার তরুণীর! তারপর…]
এছাড়াও এই সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছরে এপ্রিল থেকে জুন মাসের হিসাব বলছে ৪২ শতাংশ আইসক্রিম অর্ডার হয়েছে এসব শহরে। এরপরই অর্ডারের তালিকায় রয়েছে ডিম। বেঙ্গালুরু, দিল্লি ও মুম্বইয়ে প্রায় ৫০ মিলিয়ান ডিম অর্ডার হয়েছে। তালিকায় রয়েছে পোহা, উপমা। অর্ডার হয়েছে ফল ও সবজিও। কিন্তু সব কিছুকেই ছাপিয়ে গিয়েছে কন্ডোম।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়, কোনও টেলিভিশন চ্যানেলেই সকাল ছ’টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত কন্ডোমের বিজ্ঞাপন সম্প্রচার করা যাবে না। ওই ধরনের বিজ্ঞাপনে ‘অভব্য ও অনুপযুক্ত’ বিষয় উপস্থাপিত করা হয় এই যুক্তিতে এই সময়ে তা সম্প্রচার করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। শিশুদের তা দেখা উচিত নয় বলেই ওই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করেছে রাজস্থান হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রদীপ নন্দরাযোগ এবং বিচারপতি ডি সি সোমানির বেঞ্চ কেন্দ্রকে ওই নোটিস জারি করেছে। একটি বেসরকারি সংস্থার দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে ওই নোটিস দায়ের করা হয়েছে। মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক ওই নোটিস পেয়ে গিয়েছে। যথা সময়ে তার জবাবও দেওয়া হবে।