সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতকাল কেন্দ্রীয় বাজেটে (Union Budget) পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন ট্রেনের (Hydrogen Train) কথা উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। যাকে কেন্দ্রের তরফে ‘বন্দে মেট্রো’ও বলা হচ্ছে। বুধবারই কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) টুইট করে জানান, চলতি বছরে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে হাইড্রোজেন ট্রেনের চাকা গড়াবে দেশের মাটিতে। প্রাথমিকভাবে নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ে রুটে চলবে দূষণহীন এই ট্রেন। সূত্রের খবর, পরবর্তী ধাপে দার্জিলিং পাহাড়েও ছুটবে হাইড্রোজেন ট্রেন। অর্থাৎ দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (Darjeeling himalayan Railway) রুটে দেখা যাবে এই ট্রেনকে। তাহলে কি বদলে যাবে বাঙালির প্রিয় টয় ট্রেনের চেহারা?
আরাধনা ছবিতে শর্মিলা ঠাকুরের উদ্দেশে ‘স্বপ্ন কী রানি’ গেয়েছিলেন সুপারস্টার রাজেশ খান্না। যদিও আদতে দার্জিলিং পাহাড়ই হল বাঙালির স্বপ্নের রানি। পাইন বনের গা বেঁয়ে লুকোচুরি পথ, চা বাগান, মনেস্ট্রি, দার্জিলিং ম্যালে বসে দার্জিলিং চায়ে চুমুক, প্রবল শীতে কাঁপতে কাঁপতে টাইগার হিলের সূর্যোদয়, সেইসঙ্গে কুয়াশা ও মেঘের খেলা, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাঙালিকে মগ্ধ করে চলেছে। তবে দার্জিলিং বললেই আরও একটি বিষয় নিমেষে চোখের সামনে ভেসে ওঠে। কী?
[আরও পড়ুন: সাবানের পেটে লুকিয়ে মাদক পাচার, মুম্বই বিমানবন্দরে উদ্ধার ৩৩ কোটির কোকেন]
তা অবশ্যই টয় ট্রেন। সকলে মোটা দামের টিকিট কেটে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং অবধি যেতে পারেন না। ফলে অনেকেই জয় রাইড-এ চাপেন। যাঁরা তাও পারেন না তাঁরা বাতাসিয়া লুপ বেড়াতে গিয়ে চোখের দেখা দেখেন ঐতিহ্যবাহী অপূর্ব ট্রেনটিকে। এইসব কারণেই দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ। সেই ট্রেনের চেহারা বদল কি কাজের কথা? উঠছে প্রশ্ন।
[আরও পড়ুন: নতুন নাকি পুরনো, কোন করকাঠামো বেশি সাশ্রয়ী? সংশয়ে করদাতার]
তবে সত্যিই বদল হবে কিনা, হলে কেমন হবে সেই বদল? এইসব প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে কিছুদিন বাদে। আগামী বছরের আগে দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন আগের মতোই নয়ানাভিরাম থাকছে। তবে পরিবেশদূষণ যে একটি বড় বিষয় তা নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। সেই কারণেই দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে, নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ে, কালকা সিমলা রেলওয়ে, মাথেরান হিল রেলওয়ে, কাংরা উপত্যকা, বিলমোরা ওয়াঘাই এবং মারওয়ার-দেবগড় মাদ্রিয়ার মতো ঐতিহাসিক, ন্যারো-গেজ রুটে এই হাইড্রোজেন ট্রেন চালানোর ভাবনা কেন্দ্রের। যেখানে প্রকৃতির কুঝিকঝিক ছোট ট্রেনের লাইন।