সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আচমকাই দেখছেন সঙ্গীর আচরণে বদল? বিচ্ছেদ হয়নি ঠিকই, কিন্তু প্রিয় মানুষটি শত যোজন দূরত্ব বাড়িয়েছে? দিনরাত যে খবর নিত, আচমকা উধাও সে। লেগেই রয়েছে ব্যস্ততার অজুহাত। 'সফট ডাম্পড' হচ্ছেন না তো! জানেন কী করবেন?
চলুন আগে জেনে নেওয়া যাক, কী এই 'সফট ডাম্প'। বিচ্ছেদ ঘোষণা করেননি সঙ্গী। এখনও নিয়মমাফিক যোগাযোগ রয়েছে। প্রয়োজনে কথাবার্তা হচ্ছে প্রতিদিনই। কিন্তু আগের সেই রসায়নটা নেই। কেমন যেন অজানা একটা পাঁচিল উঠে গিয়েছে দুজনের মাঝে। এটাই হচ্ছে সফট ডাম্প। অর্থাৎ ব্রেকআপ ছাড়াই সে ইমোশনালি আপনার থেকে অনেকটা দূরে চলে গিয়েছে। বদলে ফেলেছে সম্পর্কের ছোটোখাটো অভ্যেসগুলো।
ছবি: প্রতীকী
কিন্তু কেন সঙ্গী এমন করেন? সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উলটোদিকের মানুষটার অনুভূতির কথা ভেবে অনেকেই সম্পর্কে ইতি টানতে পারেন না। কেউ আবার চান, উলটো দিক থেকেই বিচ্ছেদের প্রস্তাব আসুক। কারণ, সঙ্গীর চোখে খারাপ হতে চান না তাঁরা। অনেকক্ষেত্রেই এই কারণেই জন্ম নেয় 'সফট ডাম্পে'র প্রবণতা। তবে কেউ কেউ আবার মানসিক দূরত্ব বাড়ালেও সম্পর্কে থাকার সুবিধাগুলো ভোগ করতে চান। তাঁরাও এই ধরনের কাজ করেন। তাঁরা সম্পর্কে থাকেন, কিন্তু সঙ্গীকে স্পেশাল ফিল করানোর জন্য কিছুই করেন না। সঙ্গীকে গুরুত্বও দেন না। কারণ, মানসিকভাবে তাঁদের দূরত্ব শত যোজন।
কীভাবে বুঝবেন সঙ্গীর 'সফট ডাম্পে'র প্রবণতা?
১. আপনার প্রতি আগ্রহ দেখাবেন না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমবে কথা।
২. দেখা করার ইচ্ছে, প্ল্য়ানিং সবটাই কমবে তাঁর তরফে।
৩. মেসেজ করলে জবাব মিলতে পেরিয়ে যেতে পারে ঘণ্টা। ফোন করলেও তাঁকে পাওয়া বেশ কঠিন।
৪. ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে চাইলেই এড়িয়ে যাবে।
৫. একমুহূর্তে খুব কাছের মনে হলে কিছুক্ষণ পরই বুঝিয়ে দেবে দূরত্ব।
এই পরিস্থিতিতে কী করবেন?
১. আপনিই কথা বলার চেষ্টা করুন। সঙ্গী যা বলতে পারছেন না, তা বলার সুযোগ করে দিন আপনিই।
২. স্পষ্টভাবে জানতে চান, সঙ্গী কী চাইছেন।
৩.যদি স্পষ্টভাবে তিনি বলতে না চান, তাহলে জোর করবেন না।
৪. যদি বোঝেন উলটো দিকের মানুষটা মন থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছেন, তাহলে নিজেকে একই জায়গায় আটকে রাখবেন না। আপনিও এগিয়ে যান, সেটা অনেক সহজ হবে।
মাথায় রাখবেন, সফট ডাম্পড হলে নিজেকে মানসিকভাবে পরিত্যক্ত মনে হবে। নিজের সঙ্গে সেই অন্যায়টা করবেন না। যে যেতে চায় তাঁকে হাসিমুখে যেতে দিন।
