সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাগ, দুঃখ, অভিমান, আনন্দের মতোই ঈর্ষাও একটা ইমোশন। যা সকলের মধ্যেই থাকে। কেউ মনের ভিতর লুকিয়ে থাকা ঈর্ষাকে দমিয়ে রাখতে পারে, কেউ তা পারে না। এখানে সমস্যার শুরু। তাঁদের আচরণই বুঝিয়ে দেয় অন্যকারও জয় তাঁদের আনন্দ তো দেয়ই না উলটে অস্থির করে তোলে। যা থেকে ধীরে ধীরে নষ্ট হয় সম্পর্ক। তাই এদের থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন, কে আপনাকে হিংসে করছে? চলুন জেনে নিন।
১. এরা আপনার আনন্দে আনন্দিত বলে দাবি করেন ঠিকই, কিন্তু আচরণ বুঝিয়ে দেয় মনের কথা। আপনাকে প্রশংসার ছলে অপমান করতে দ্বিতীয়বার ভাবেন না এরা। ক্রমাগত কাছের মানুষের থেকে এই নেতিবাচক মন্তব্য আপনাকে ভিতর থেকে ভেঙে দেবে। আত্মবিশ্বাস তলানিতে পৌঁছে দেবে। তাই আশপাশের কারও সঙ্গে কথা বলে যদি এমনটা মনে হয়ে থাকে, তাহলে দূরে সরিয়ে নিন নিজেকে।
২. সুখবর ভাগ করে নিতে কার না ভালো লাগে। আর প্রিয়জন, প্রিয় বন্ধু, এককথায় কাছের মানুষের সঙ্গেই তো আনন্দ ভাগ করে নেয় সকলে। কিন্তু আপনার ভালো খবরে কি কেউ নেতিবাচক মন্তব্য করেন? ধরুন কাউকে জানালেন আপনার প্রোমোশন হয়েছে। উত্তরে সে বলল, "এ আর এমন কী! এটা তো খুব সহজ ব্যাপার।" বা বলল, "এটা তো সবাই পারে।" বুঝে নিন, আসলে ঈর্ষায় ছাড়খাড় হয়ে যাচ্ছে তাঁর মন।
৩. আপনাকে হুবহু নকল করে কেউ? আপনার পোশাক, জুতো, হাতের ঘড়ি থেকে শুরু লিপস্টিক-একই পরে? বুঝে নিন হিংসার আগুনে পুড়ে আপনার মতো করে নিজেকে দেখার চেষ্টা করছেন তিনি। যা করতে গিয়ে নিজের পরিচয়, অস্বিত্ব হারাতে বসেছেন।
৪. কাছের কেউ নিজেকে বড় প্রমাণ করতে গিয়ে বারবার আপনাকে ছোট করে? বারবার আঘাত করে? আপনাকে মূল্যহীন প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা চালান? বুঝে নিন এটা ঈর্ষারই বহিঃপ্রকাশ।
৫. ঈর্ষান্বিত ব্যক্তি যে সবসময় আক্রমণই করবেন, তা নাও হতে পারে। চুপ করে থাকা কেউ মজার অছিলায় অপমান করলেও তা সহজভাবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। এই ধরণের আচরণ কেউ করলে তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন। মুখোমুখি বসে কথা বললে সহজ হতেও পারে সম্পর্ক।
