সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন এক ভাঙনের মরশুম! চারপাশে শুধুই বিচ্ছেদ আর বিচ্ছেদ। যাঁরা কোনওদিন আলাদা হতে পারে বলে ভাবেননি, হঠাৎ জানলেন তাঁরাও দু'জন দু'প্রান্তে। আর এই বিচ্ছেদের ঝড় মনের কোণে আতঙ্কের জন্ম যে দেয়, তা বলাই বাহুল্য। সঙ্গীর হাতে হাতে রেখেও অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, জীবনটা এমনই থাকবে তো? বিশেষজ্ঞদের মতে প্রেম দীর্ঘমেয়াদি করতে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ব্যস, তাহলেই কেল্লাফতে! চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক সেগুলো।
১. মনে প্রেম যতই থাকুক না, মাঝে মাঝে মুখে তা প্রকাশ করা অত্যন্ত দরকার। আপনার বলা একটা 'ভালোবাসি' শব্দ পালটে দিতে পারে সঙ্গীর মুড। বা ধরুন, ভালো কিছু করলে বললেন, "তুমি খুব ভালো কাজ করেছ" বা "তোমাকে নিয়ে আমি গর্বিত"-এই ধরনের কথা খুশি করে দেয় সঙ্গীকে। যা দু'জনের মধ্যে বিশ্বাস, বন্ধন দৃঢ় করে। সঙ্গীর সর্বক্ষণ ভুল-ত্রুটি তুলে ধরে তাঁকে কটাক্ষ না করে যদি তাঁর ছোটছোট ভালো কাজগুলোরও প্রশংসা করেন, তা মজবুত করে সম্পর্কের ভীত।
২. একান্তে নিজেদের সময় দেওয়াটা যে কোনও সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন সকলেই অত্যন্ত ব্যস্ত। তা সত্ত্বেও দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় রাখুন সঙ্গীর জন্য। সেই সময়টুকু শুধু নিজেদের নিয়েই মেতে থাকবেন, সেখানে যেন কোনওভাবেই তৃতীয় ব্যক্তি বা এমন কোনও বিষয় না আসে যাতে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়।
৩. গিফট যে কোনও কাউকেই স্পেশাল ফিল করাতে অব্যর্থ। তাই চেষ্টা করুন সঙ্গীকে মাঝেমধ্যেই উপহার দিতে। নাহ, গিফট মানেই কিন্তু দামী কিছু নয়। ধরুন মন কষাকষির মাঝেই নিজের অনুভূতির কথা লিখে একটা চিঠি দিলেন। হাতে করে নিয়ে গেলেন সঙ্গীর পছন্দের চকোলেট। দেখবেন, ভালোবাসা বাড়বে।
৪. সঙ্গীর সঙ্গে দায়িত্ব ভাগ করে নিন। এখন প্রায় সকলক্ষেত্রেই দু'জনই উপার্জন করেন। অর্থাৎ আর্থিক দিকটা ভাগ করে নেন দু'জনেই। কিন্তু চেষ্টা করুন সংসারের কাজও ভাগ করে নিতে। রান্না হোক বা ঘর গোছানো, সাহায্য করুন সঙ্গীকে। দেখবেন, বন্ধন দৃঢ় হতে বাধ্য।
ছবি: সংগৃহীত
৫. সম্পর্কে স্পর্শ খুব গুরুত্বপূর্ণ। জড়িয়ে ধরা, কপালে চুম্বন বুঝিয়ে দেয় আপনি পাশে আছেন। যা সম্পর্কের ভীত শক্ত করে। তাই সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদি করতে এগুলো অভ্যাসে পরিণত করুন। দেখবেন, বিচ্ছেদের মরশুমেও আপনাদের বন্ধন থাকবে অটুট।
