সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ ২৭ বছর পর বিদায় নিয়েছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। মাইক্রোসফটের এই ব্রাউজার ঠিক কতখানি জনপ্রিয় ছিল, এবার মিলল তারই প্রমাণ। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ‘শোকে’ অদ্ভুত কাণ্ড ঘটালেন এক ইউজার। বিপুল অর্থ খরচ করে আস্ত একটি সমাধিই বানিয়ে ফেললেন তিনি!
হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ইঞ্জিনিয়ার জুং-কি-ইয়াং নিজের প্রিয় ব্রাউজারকে শ্রদ্ধা জানাতে প্রায় ৩০০ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ২৫ হাজার টাকা খরচ করে বানিয়ে ফেলেছেন একটি সমাধি। যেখানে কালো কনক্রিটের উপর বড় করে লেখা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার (Internet Explorer)। তার নিচে দেওয়া তারিখ। ১৯৯৫ থেকে ২০২২ সাল। সঙ্গে লেখা, “অন্য ব্রাউজার ডাউনলোডের ক্ষেত্রে খুব উপকারি একটা টুল ছিল ও।” দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) গোয়ানঝুয়ে জুং-কি-ইয়াংয়ের ভাইয়ের একটি কাফে রয়েছে। তারই সামনে তৈরি হয়েছে এই সমাধি। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এই সমাধির ছবি। তুঙ্গে চর্চা।
[আরও পড়ুন: বয়স বাড়ার অপেক্ষায় না থেকে শরীরে খেয়াল রাখুন, এই টেস্টগুলি করান, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের]
জুং জানিয়েছেন, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বিদায় নেওয়ায় তাঁর মন খারাপ। তবে তাঁর তৈরি করা সমাধি যে শিরোনামে উঠে এসেছে, তা দেখেও খুশি তিনি। বলছেন, “ওর চলে যাওয়াটা সত্যিই দুঃখের। তবে আমি এই ব্রাউজারকে মিস করব না। বরং বলব, সুন্দরভাবেই ও বিদায় নিয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত বছর মে মাসেই মাইক্রোসফটের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে এ বছর ১৫ জুনের পর উইনডোজ ১০-এর নির্দিষ্ট কিছু ভার্সানে আর দেখা মিলবে না ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের। যে কারণে ইউজারদের মাইক্রোসফট এজ (Microsoft Edge) ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। পরে জানিয়ে দেওয়া হয়, ১৫ জুন থেকে ডেস্কটপ-সহ আর কোথাও কাজ করবে না ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। কোনও ইউজার ডেস্কটপ থেকে IE খুললে তাঁকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হবে মাইক্রোসফট এজ ব্রাউজারের পেজে।
১৯৯৫ সালে জন্ম এই ব্রাউজারের। কার্যত সেই সময় ব্রাউজার বলতে সকলেই এটিকেই বুঝতেন। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রথম প্রজন্মের স্মৃতিজুড়ে তার স্থায়ী অবস্থান ছিল। তবে গত বেশ কয়েক বছর ধরে কার্যত অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে ব্রাউজারটি। গুগল ক্রোম, ফায়ারফক্স, ইউসিরা অনেকটাই এগিয়ে যায় দৌড়ে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মাইক্রোসফট নিয়ে আসে অন্য এক ব্রাউজার ‘এজ’। ২০১৫ সালে এজ ব্রাউজারের আগমনই ছিল এক্সপ্লোরারের কফিনে শেষ পেরেক। আর গত ১৫ তারিখ চিরতরে বিদায় নিয়েছে সে।