সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আলু ছাড়া অনেকেরই খাবার মুখে রোচে না। আবার ইদানিং শরীরে একাধিক রোগের জন্য আলু খাওয়াও নিয়ন্ত্রিত। ফলে লাঞ্চ বা ডিনার টেবিলে বসে ব্যাজার মুখেই খাওয়া শেষ করতে হয়। কিন্তু জানেন কি আলু শুধু সেদ্ধ কিংবা ভাজা অথবা তরকারির উপকরণ হিসেবেই নয়, আরও অনেক লোভনীয় পদই তৈরি করা যায়। না, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা চিপসের কথা বলছি না। আলু দিয়ে বেশ কিছু মিষ্টি রেসিপিও সম্ভব, যার আড়ালেই আপনার পছন্দের আলু থাকবে। ফলে মন, জিভ, পেট - সন্তুষ্টি ১০০ ভাগ। জেনে নিন সেসব সহজ রেসিপি।
- আলুর রসমালাই
উপকরণ:
বল তৈরির জন্য: সেদ্ধ আলু, কর্নফ্লাওয়ার/অ্যারারুট, সামান্য ঘি
দুধের সিরা (মালাই) তৈরির জন্য: দুধ/ফুল ক্রিম, চিনি, এলাচগুঁড়ো, কেশর, পেস্তা, বাদাম
আলুর রসমালাই।
প্রণালী:
আলুর বল তৈরি - সেদ্ধ আলু ভালো করে মেখে মসৃণ করে নিন। এর সঙ্গে ২ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার বা অ্যরারুট মিশিয়ে নরম ডো তৈরি করুন। এই ডো থেকে ছোট ছোট গোল বলের আকারে কেটে নিন। একটি প্যানে অল্প ঘি গরম করে বলগুলো হালকা সোনালি করে ভেজে তুলে নিন।
দুধের সিরা তৈরি:
একটি বড় পাত্রে ১ লিটার দুধ নিয়ে ফুটাতে থাকুন। দুধ ঘন হয়ে অর্ধেক হয়ে এলে চিনি এবং এলাচগুঁড়ো দিন। এরপর কেশর ও কুচিয়ে রাখা পেস্তা, বাদাম মিশিয়ে আরও কিছুক্ষণ জ্বাল দিন, যতক্ষণ না মালাইটা ঘন হয়।
আলুর রসমালাই।
রসমালাই তৈরি:
এবার ভেজে রাখা আলুর বলগুলো ঘন দুধের মধ্যে দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে আঁচ বন্ধ করে দিন। এবার ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন আলুর রসমালাই। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেলে স্বাদ আরও বাড়বে।
- রাঙা আলুর পায়েস
উপকরণ:
রাঙা আলু বা মিষ্টি আলু: মাঝারি মাপের ২-৩টি
দুধ: ১ লিটার (ঘন হলে ভালো)
চিনি: স্বাদমতো
থেঁতো করা এলাচ: ২-৩টি
তেজপাতা: ১টি
ঘি: ১ চামচ
গোবিন্দভোগ চাল বা সাবুদানা: ১/২ কাপ (চাইলে নিতে পারেন)
সাজানোর জন্য কাজুবাদাম, কিশমিশ
আলুর পায়েস।
প্রণালী:
রাঙা আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে মেখে নিন। ছোট ছোট কিউব আকারেও কেটে নিতে পারেন। চাল ব্যবহার করলে তা অল্প জল দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এবার একটি ভারী পাত্রে দুধ গরম করুন। তেজপাতা ও থেঁতো করা এলাচ দিয়ে দুধ ফুটিয়ে নিন। দুধ ঘন হতে শুরু করলে আঁচ কমিয়ে দিন। এবার মাখা আলু বা কেটে রাখা আলু ও সেদ্ধ চাল ফোটানো দুধের মধ্যে দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন যাতে পাত্রের তলায় লেগে না যায়। আলু কিছুটা সেদ্ধ হয়ে গেলে এবং পায়েস ঘন হয়ে এলে চিনি মেশান। চিনি ভালো করে মিশে গেলে আরও কিছুক্ষণ রান্না করুন। ঘি দিয়ে একটু ভাজা কাজু ও কিশমিশ পায়েসের উপর ছড়িয়ে দিন। গরমের চেয়ে কিছুটা ঠান্ডা অবস্থায় এই পায়েস বেশি সুস্বাদু। গোটা রান্নাটা মাটির পাত্রে করলে ভালো হয়।
