দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: জল-জঙ্গল বাঘ, কুমীরের দেশের টান কিন্তু অন্যরকম। একটা সময়ে শুধুই পরিবেশের অক্সিজেন ভাণ্ডার হিসেবেই সুন্দরবনের (Sunderban) ম্যানগ্রোভ অরণ্যকে চিনতেন সকলে। কিন্তু বাংলার সেই ম্যানগ্রোভ অরণ্যের আদিম সৌন্দর্যের টানে সেখানে ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের। ঘুরতে আসছেন বিদেশিরাও। ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের (Mangrove Forest) কোন গাছ কী, যত্ন করে তা তাঁদের চিনিয়ে দেন স্থানীয় গাইডরাই। তাতে রোজগারের রাস্তা প্রশস্ত হয়।
কিন্তু অনেক সময়েই দেখা যায়, এই কাজ করতে গিয়ে ভাষাগত সমস্যায় পড়েন পর্যটক-গাইড উভয়েই। বাধা হয়ে দাঁড়ায় মূলত ইংরাজি ভাষা। সেই বাধা দূর করে গাইডদের আরও এগিয়ে দিতে উদ্যোগী হল ব্যঘ্র সংরক্ষণ সংস্থা ‘শের’। দিল্লির মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে স্পোকেন ইংলিশ (Spoken English) নিয়ে কর্মশালা হয়ে গেল গত সপ্তাহে। ৩৬ জন স্থানীয় গাইড অংশ নিলেন। খোদ মার্কিনিদের কাছ থেকে শিখলেন সহজ ইংরাজিতে কথা বলা। ‘শের’ (SHER) এর আশা, এতে আরও ফুলেফেঁপে উঠবে সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসা।
[আরও পড়ুন: ‘বোতাম টিপলেই’ তৃণমূলে ৪ কংগ্রেস সাংসদ! দলবদলের জোরালো ইঙ্গিত অভিষেকের]
নদীর মাছ, জঙ্গলের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger) আর সুন্দরী, গরান, গেঁওয়া গাছের ফাঁকে ফাঁকে হরেক পাখির মেলা। সুন্দরবনের সৌন্দর্য এটুকুর মধ্যেই অসীম। তার টানেই নগরের কোলাহল থেকে দূরে, নদী পেরিয়ে সপ্তাহান্তের ছুটিতে অনেকেই চলে যান সুন্দরবন বেড়াতে। ইদানিং বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনাও বাড়ছে। আর তাঁদের সুন্দরবন ঘোরাতে গিয়ে দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও ভাষাগত সমস্যায় অনেক সময় ভালভাবে কাজ করতে পারেন না স্থানীয় যুবকরা। তাঁদেরই সাহায্যে এগিয়ে এসেছে ‘শের’ ও দিল্লির মার্কিন দূতাবাস।
[আরও পড়ুন: মেয়ের কীর্তিতে আমি লজ্জিত! পরিবার নিয়ে বিস্ফোরক ‘ফ্যামিলি ম্যান’ মনোজ বাজপেয়ী]
গত সপ্তাহে টানা ৫ দিন ধরে সুন্দরবনে তাঁদের জন্য স্পোকেন ইংলিশের ওয়ার্কশপ হয়ে গেল। বোর্ড, চক, ডাস্টার দিয়ে তাঁদের ক্লাস করালেন মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধিরা। মন দিয়ে সেসব শুনলেন সকলে। ওই কর্মশালায় যোগ দিলেন পর্যটকরাও। ওয়ার্কশপ শেষে তাঁদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দিলন প্রধান বন সংরক্ষক অজয় দাস। এই সার্টিফিকেটের জন্য স্থানীয় গাইডদের কাজ পেতে অনেক সুবিধা হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।