সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডাভ, ট্রেসেমির মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের অ্যারোসল ড্রাই শ্যাম্পু (Shampoo) ফেরত চেয়ে পাঠাল ইউনিলিভার (Unilever) কর্তৃপক্ষ। শ্যাম্পুতে বেনজিন নামক রাসায়নিক উপাদান মেলায় তা দূষিত বলে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। দাবি, এর থেকে ক্যানসার (Cancer) পর্যন্ত হতে পারে।
ইউনিলিভারের ২০২১ সালের অক্টোবরের আগে তৈরি করা শ্যাম্পুর ব্যাচই ফেরত চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে নেক্সাস, সুভে, ট্রেসেমি এবং টিগির মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডও অন্তর্ভুক্ত। এগুলি রকাহোলিক এবং বেড হেড ড্রাই-এর মতো শ্যাম্পু তৈরি করে। তবে সাধারণ শ্যাম্পুর কোনও ব্যাচ প্রত্যাহার করেনি ইউনিলিভার কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: ম্যারাথন জেরার পর চিটফান্ড মামলায় গ্রেপ্তার দুর্গাপুরের ব্যবসায়ী, আজই তোলা হবে আদালতে]
ঠিক কী ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে বেনজিনের সংস্পর্শে ত্বক এলে? বিশেষজ্ঞদের দাবি, নিয়মিত এই পদার্থের সংস্পর্শে বড়সড় শারীরিক বিভ্রাট ঘটতে পারে। সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গকে ইউনিলিভারের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এর ফলে লিউকোমিয়া ও অন্যান্য রক্তের ক্যানসারের মতো ভয়ংকর অসুখও হতে পারে। তবে তাদের শ্যাম্পুতে কতটা পরিমাণে বেনজিন ব্যবহৃত হয়, তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আশঙ্কার কারণেই সাবধানতা অবলম্বন করতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এক বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, অ্যারোসল ড্রাই শ্যাম্পুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বেনজিন থাকতে পারে। তাই সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ড্রাই শ্যাম্পু থেকে এই প্রথম বিপদের আশঙ্কা তৈরি হল তা নয়। বেনজিন দূষণের কথা উল্লেখ করে গত ডিসেম্বরে তাদের প্যানটিন এবং হার্বাল এসেন্স ড্রাই শ্যাম্পুর ব্যাচ ফেরত চেয়ে পাঠিয়েছিল প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বেল সংস্থা।
[আরও পড়ুন: চিনকে চাপে রাখতে নয়া কৌশল, অরুণাচল প্রদেশ সফরে মোদি, দলাই লামা!]
প্রসঙ্গত, এর আগে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ বেবি পাউডারে মেলা অ্যাসবেস্টসের নমুনা নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল। অ্যাসবেস্টস শিশু শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এর সংস্পর্শে এলে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। আর তাই ২০২০ সাল থেকে আমেরিকা ও কানাডায় বন্ধ এই পাউডারের বিক্রি। সম্প্রতি একেবারে গোটা বিশ্বেই তাদের এই পণ্য বিক্রি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা।