সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোথাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাড়ি কেটে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোথাও আবার যোগী আদিত্যনাথ, অমিত শাহ এবং মোদিকে তাড়া করছেন মমতা। কেউ কেউ আবার লিখেছেন, ”একজন মহিলাই হারিয়ে দিলেন মোদি, যোগী, শাহ, নির্বাচন কমিশনকে। এটাই দিদির ক্ষমতা।” ২ মে রবিবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের ফল সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গেল এই ধরনের একাধিক মিমে। টুইটারে ট্রেন্ডিং ”দিদি ও দিদি” এবং ”খেলা হবে” হ্যাশট্যাগ।
ভোটের লড়াই শেষ। রবিবার সকাল থেকেই চলছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ চার রাজ্যের ভোটগণনা। তবে গোটা দেশের নজর অবশ্যই রয়েছে বাংলার দিকে। কারণ বাকি জায়গাগুলির তুলনায় সর্বশক্তি দিয়ে এ রাজ্য দখলের জন্যই ঝাঁপিয়েছিল বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি থেকে শুরু করে একাধিক বিজেপি-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এ রাজ্যে দলের হয়ে প্রচারে এসেছিলেন। খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিক সভা করেছেন। উত্তর হোক বা দক্ষিণ কার্যত গোটা বাংলায় প্রচার করেছেন দু’জনে। বারেবারে ২০০-রও বেশি আসন পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বিজেপির সমস্ত নেতাই। কিন্তু রবিবার ভোটগণনা শুরু হতেই উলটপুরাণ। ট্রেন্ডে দিকে দিকে কেবলই সবুজ ঝড়। ট্রেন্ড অনুযায়ী, তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের কথা অনুযায়ী, ১০০-র গণ্ডিও পেরতে পারেনি বিজেপি। আর এই ট্রেন্ড প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গেল একাধিক মিমে।
[আরও পড়ুন: ‘আমার নাম অনুব্রত, আমাকে আটকানো মুশকিল’, বীরভূমে ভয়ংকর খেলা দেখিয়ে হুঙ্কার কেষ্টর]
ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ”দিদি ও দিদি”, ”খেলা হবে” এবং “নরেন্দ্র মোদি গ্লোবাল পাপ্পু” হ্যাশট্যাগ। আর তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে অমিত শাহ প্রত্যেককেই তীব্র কটাক্ষ করেন নেটিজেনরা। কেউ লেখেন, ”এখন বিজেপি ভক্তরাও বাংলায় বিজেপি হারায় খুশি। কারণ বিজেপি নেতাদের ঔদ্ধত্য এতে শেষ হয়েছে।” কেউ আবার রাহুল-মোদির মধ্যে ছবি শেয়ার করে লেখেন, ”কে আসল পাপ্পু?” কেউ আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের পরই শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন ছোঁড়েন, “আপনি কবে রাজনীতি ছাড়ছেন?” কেউ কেউ আবার বিজেপির তারকা প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করেও পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রশ্ন করেন, “তাহলে কি মিঠুনদা নাচবেন না?”