স্টাফ রিপোর্টার: ১৩-১৮ বছরের পড়ুয়া এবং ২৫-৩৫ বছরের চাকরিজীবীরাই সবচেয়ে বেশি মানসিক চাপের শিকার। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে এমন তথ্যই পেয়েছে ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রির এপিডেমিওলজি বিভাগ।
‘স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ ওয়েল বিয়িং’ অালোচনায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। ‘ডিপার্টমেন্ট অফ সাইকিয়াট্রি এপিডেমিওলজি’র তরফে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় লাগাতার সমীক্ষা চালানো হয়। যাচাই করা হয়, কোন বয়সিরা বেশি মানসিক চাপে দিনযাপন করে? সেই তথ্যই এবার প্রকাশিত হয়েছে। তথ্য হাতে পেয়ে বিস্মিত হলেও জেটযুগে এটাই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
[আরও পড়ুন: রোহিতদের হেডস্যর যখন দর্শক! ছেলের খেলা গ্যালারিতে বসে দেখছেন দ্রাবিড়]
আলোচনায় শুরু করেছিলেন আইওপি’র অধিকর্তা ডা. অমিত ভট্টাচার্য। পরে সহকারী অধ্যাপক ডা. রিয়াল দাস বলছেন, ‘‘১৩-১৮ বছরের পড়ুয়াদের মধ্যে পাঠ্যসূচির চাপ যেমন থাকে তেমনই উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক স্তরে কোন বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বেশি দেখা যাচ্ছে।’’ তঁার কথায়, ”এটা যেমন একটা সমস্যা, তেমনই ২৫-৩৫ বছরের চাকরিজীবীদের মধে্য অফিসের চাপ অথবা কাঙ্ক্ষিত পদোন্নতি না হওয়ার মানসিক চাপ অত্যন্ত বেশি। এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরত ছেলেমেয়েদের মধে্য। এছাড়া বাড়ির সমস্যাও রয়েছে।”
অাইওপি’র এপিডেমিওলজির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু ক্ষেত্রে সমঝোতা অাবার কোনও ক্ষেত্রে প্রতিবাদও করতে হবে। তবে সবটাই অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে। এক বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘‘অাপনি যদি বুঝেই যান বস খিটখিটে, উনি কোনওভাবে বদলাবেন না তবে সেক্ষেত্রে উদাসীন থাকুন। নিজের কাজ ঠিকভাবে করে বাড়ি ফিরে যান। অযথা নিজের উপর মানসিক চাপ নেবেন না ও বাড়তে দেবেন না। নিজের কাজটা ঠিকমতো করেই মানসিক প্রশান্তি পান।’’ আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন রাজে্যর স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. সিদ্ধার্থ নিয়োগী, মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি বিধায়ক ডা. সুদীপ্ত রায় প্রমুখ।