বাবুল হক, মালদহ: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে দেওয়া হচ্ছে পচা ডিম, শুকনো ভাত! যার জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বাসিন্দারা। রাগে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও রাঁধুনিকে তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখালেন উত্তেজিত জনতা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় মালদহের (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। অভিভাবকদের ক্ষোভের মুখে পড়ে পচা ডিম দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নেন রাঁধুনি, দাবি স্থানীয়দের।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রামেরই একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ঘটেছে ঘটনাটি। অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে বরাবরই নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। এর আগেও ওই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নিম্নমানের খাবার ও পচা আলু দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার শিশুর পাতে দুর্গন্ধযুক্ত পচা ডিম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও সমাধান হচ্ছে না বলে অভিযোগ। মানা শেখ নামে এক অভিভাবক বলেন, “এদিন দুর্গন্ধযুক্ত পচা ডিম দেওয়া হচ্ছিল, যা মুখে তোলা যায় না। পচা ও নিম্নমানের খাবার খেয়ে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। প্রতিবাদ করলে কেউ কর্নপাত করছেন না।”
[আরও পড়ুন: প্রেমিকের সঙ্গে ঘর ছাড়ার পরই নাবালিকার রহস্যমৃত্যু! হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার অর্ধনগ্ন দেহ]
তাঁর অভিযোগ, এছাড়াও সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী গর্ভবতী মা ও প্রসূতি মায়েরা গোটা ডিম পাওয়ার কথা থাকলেও তা পান না। কোনও কোনও দিন শুধু সাদা ভাত ও কাঁচা ডিম দেওয়া হয়। এমনকী সপ্তাহে এক থেকে দু’দিন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ছুটি রাখা হয়।” স্থানীয় বাসিন্দা রনি আলি বলেন, “এই সেন্টার থেকে নিয়মিত নিম্নমানের খাবার ও পচা ডিম দেওয়া হয়। সেন্টারের কর্মীকে বলতে গেলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। আজকেও সাদা ভাত ও সিদ্ধ পঁচা ডিম শিশুদের দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয়রা বলতে গেলে পচা ডিম ও ভাত পুকুরে ফেলে দেন ওই অঙ্গনওয়াড়িকর্মী।” যদিও অঙ্গনওয়াড়িকর্মী বিনতি দাস বলেন, “সেন্টার থেকে নিয়মিত শিশুদের খাবার দেওয়া হয়। আজকেও খাবার দেওয়া হয়েছিল। পচা ডিম দেওয়ার অভিযোগটি সরাসরি মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানোর একটা চক্রান্ত চলছে।” এই ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের আধিকারিক আব্দুল সাত্তার বলেন, “স্থানীয়দের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”