নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: প্রথম দফায় মোট প্রার্থী সংখ্যা ১৯৫। অথচ এই ১৯৫ জনের মধ্যে মুসলিম প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ১। সার্বিকভাবেই সংখ্যালঘুর সংখ্যা নগণ্য। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকাতেও ধরা পড়ল বিজেপির (BJP) সেই চেনা রূপ। আরও একবার সংখ্যালঘুরা যেখানে উপেক্ষিত, সেই সঙ্গে উপেক্ষিত মহিলারাও। সেখানে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জাতপাতের সমীকরণের দিকে।
প্রথম দফায় ১৬ রাজ্য এবং ২ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১৯৫ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। এর মধ্যে সব মিলিয়ে মোটে ১ জন মুসলিম প্রার্থী। কেরলের মলপ্পুরম কেন্দ্র থেকে পদ্ম প্রতীকে লড়বেন ড. আবদুল সালাম। কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই ভাইস চ্যান্সেলর বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। আর কোনও মুসলিম মুখ নেই বিজেপির প্রার্থী তালিকায়।
[আরও পড়ুন: মোদি বারাণসীতেই, ভোট ঘোষণার আগেই ১৯৫ আসনের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ বিজেপির]
দিন কয়েক আগেই সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করিয়েছে মোদি (Narendra Modi) সরকার। সেই বিল অনুযায়ী ৩৩ শতাংশ আসনে মহিলা প্রার্থী দেওয়ার কথা। যদিও সেটা কার্যকর হয়নি এখনও। তবে এবারের লোকসভা ভোটে অনেক দলই ৩৩ শতাংশ আসনে প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু বিজেপির প্রথম তালিকায় ১৯৫ জনের মধ্যে মহিলা প্রার্থী মাত্র ২৮। শতাংশের বিচারে ১৪ শতাংশের চেয়ে সামান্য বেশি। অর্থাৎ ৩৩ শতাংশের অনেক কম। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইদানিং বারবার এই শব্দবন্ধ ব্যবহার করেন। কিন্তু সবকা বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টায় বিজেপি যে এখনও সেভাবে সফল হয়নি, সেটা বোধ হয় প্রার্থী তালিকায় সংখ্যালঘুদের সংখ্যা দেখলেই বোঝা যায়।
[আরও পড়ুন: গম্ভীরের পর এবার যশবন্ত সিনহার ছেলে, নির্বাচনী রাজনীতি থেকে অব্যাহতি চান বিজেপি সাংসদ]
তবে জাতপাতের সমীকরণ বেশ ভালোমতো বজায় রাখা হয়েছে। প্রথম দফার ১৯৫ আসনের মধ্যে তফসিলি জাতির প্রার্থী ২৭ জন। তফসিলি উপজাতির (ST) প্রার্থী ১৮ জন। ওবিসি প্রার্থীর সংখ্যা ৫৭। অর্থাৎ প্রায় ৩০ শতাংশ আসন ওবিসি সম্প্রদায়ের প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। রাহুল গান্ধী দেশজুড়ে প্রচার করে চলেছেন বিজেপি তফসিলি জাতি (SC), ও অনগ্রসরদের গুরুত্ব দেয় না। সেই প্রচারের পালটা দিতেই সম্ভবত এত বেশি ওবিসি প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে।