সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম তিন দফার মতো চতুর্থ দফাতেও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় কম ভোটই পড়ল। গতবার চতুর্থ দফায় যেখানে ৬৯.১২ শতাংশ ভোট পড়েছিল, সেখানে এবার পৌনে ১২টা পর্যন্ত ৬৭.২৫ শতাংশ ভোট পড়ার কথা জানা গিয়েছে। এদিন ১০ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ৯৬টি কেন্দ্রে ভোটদান ছিল। রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষে বাংলা।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যে ভোট পড়েছে ৭৮.৩৭ শতাংশ। প্রসঙ্গত, গতবার বাংলাতে ভোট পড়েছিল ৮২.৮৮ শতাংশ। সেই হিসেবে এরাজ্যেও ভোটের হার গতবারের তুলনায় পিছিয়েই। এখন দেখার চূড়ান্ত ফল অনুযায়ী, অঙ্ক কতটা বদলায়। সোমবার অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫টি, তেলেঙ্গানায় ১৭টি আসনে ভোটদান সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে ১৩, মহারাষ্ট্রে ১১টি আসনে ভোটাভুটি হয়েছে। এছাড়া বাংলা ও মধ্যপ্রদেশে ৮টি করে, বিহারে ৫টি এবং ঝাড়খণ্ড, ওড়িশায় ৪টি করে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয় এদিন। জম্ম ও কাশ্মীরে একটি কেন্দ্রে ভোটাভুটি হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে (Lok Sabha Election) ভোটের হার একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে। এখনও পর্যন্ত চার দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। প্রথম তিন দফার ভোটের হারই ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের থেকে পিছিয়ে। যেখানে গতবার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ভোট পড়েছিল ৬৯.৯৬, ৭০.০৯ ও ৬৬.৮৯ শতাংশ। সেখানে এবার ভোটের হার যথাক্রমে ৬৬.১৪, ৬৬.৭১ ও ৬৫.৬৮ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: ‘এবার বিয়েটা করতেই হবে’, ভোট প্রচারে প্রশ্নের মুখে পড়ে সহাস্য উত্তর রাহুলের]
উল্লেখ্য, এদিনের ভোটে সব মিলিয়ে ভাগ্য নির্ধারিত হওয়ার কথা ১৭১৭ প্রার্থীর। যার মধ্যে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং, তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র, কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী, প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান, অন্ধ্রপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি ওয়াই এস শর্মিলা, এইআইএমআইএম সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মতো হেভিওয়েট নাম রয়েছে।