সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত জোড়ো যাত্রায় হেঁটেছিলেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত যাত্রা করেছিলেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচন শুরুর আগের দিনই বিজেপিতে যোগ দিলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা। গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়ে কংগ্রেস নেতার দাবি, জাতপাতের ভিত্তিতে সমাজকে বিভক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে হাত শিবির।
২০২২ সালের ভারত জোড়ো যাত্রায় (Bharat Jodo Yatra) অংশ নিয়েছিলেন মাইসুরুর ডঃ শুশ্রুত গৌড়া। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত গোটা যাত্রায় পা মিলিয়েছিলেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচন চলাকালীনই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন শুশ্রুত। বৃহস্পতিবার তিনি যোগ দিলেন বিজেপিতে। তাঁকে দলে স্বাগত জানান কর্নাটক বিজেপির (BJP) ইলেকশন-ইন-চার্জ রাধামোহন দাস।
[আরও পড়ুন: ‘দেশকে বিভ্রান্ত করবেন না’, কংগ্রেসের ইস্তেহার বোঝাতে মোদির সাক্ষাৎপ্রার্থী খাড়গে]
কেন হঠাৎ কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ? শুশ্রুতের কথায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আর জে পি নাড্ডার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছেন তিনি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে শুশ্রুত বলেন, "আমি মানুষের সেবা করতে চাই। তাই আমার মনে হয় এই লক্ষ্য পূরণের জন্য আদর্শ দল হল বিজেপি। কারণ বিজেপিতে সঠিক নেতৃত্ব রয়েছে। তাছাড়া মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে বিজেপিই।" ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) চলাকালীন এক ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের নেতাকে পেয়ে শক্তিশালী হবে বিজেপি।
তবে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার আগে কংগ্রেসকে তোপ দেগেছেন শুশ্রুত। তাঁর কথায়, সমাজের মধ্যে ভাঙন ধরাতে চাইছে কংগ্রেস। জাতপাতের ভিত্তিতে নোংরা রাজনীতি করছে। তবে শুশ্রুতের দল ছাড়া নিয়ে একেবারেই ভাবিত নয় কংগ্রেস। কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এইচ এ ভেঙ্কটেশ বলেন, "দলে একেবারেই সক্রিয় ছিলেন না শুশ্রুত। তিনি দল ছাড়লেও নির্বাচনে কোনও প্রভাব পড়বে না।" তবে শুক্রবার থেকে কর্নাটকে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। সেখানে ভোক্কালিগা ভোটারদের মধ্যে এই দলবদলের প্রভাব পড়বে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান।