সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় তৃতীয় দফার ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে পুরোদস্তুর ধর্মীয় মেরুকরণের রাস্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বর্ধমানের সভা থেকে সরাসরি মোদি অভিযোগ করলেন, তৃণমূলের শাসনে বাংলায় হিন্দুরা দ্বিতীয় সারির নাগরিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে প্রকাশ্যে হিন্দুদের ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। মোদির প্রশ্ন, বাংলায় হিন্দুদের এ কী হাল হয়েছে!
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তৃণমূল, সিপিএম বা কংগ্রেস (Congress) কেউ দেশের উন্নয়নের জন্য ভোটে লড়ছে না। ওঁরা শুধু বিভাজন বোঝে। মোদি বর্ধমানের সভা থেকে রাখঢাক না করেই বলে দিলেন, "আমি টিভিতে দেখেছি তৃণমূলের এক বিধায়ক খোলাখুলি হুমকি দিয়েছে। বলেছে হিন্দুদের দু ঘণ্টার মধ্যে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেব। এটা কেমন ভাষা ভাই! হিন্দুদের ভাসিয়ে দেব? সত্যিই বাংলায় হিন্দুদের এ কী অবস্থা। মনে হচ্ছে বাংলায় হিন্দুদের তৃণমূলের সরকার দ্বিতীয় সারির নাগরিক করে রেখেছে।"
[আরও পড়ুন: খানিকটা কমছে তাপপ্রবাহ! সপ্তাহান্তে গরম থেকে রেহাই দেবে স্বস্তির বৃষ্টি?]
মোদির প্রশ্ন, "এরা কেমন মানুষ? জয় শ্রীরামের ধ্বনি শুনলে আপত্তি করে, এরা রামমন্দিরের উদ্বোধনে আপত্তি করে। এরা রামনবমীর শোভাযাত্রায় আপত্তি করে!" মোদির অভিযোগ, সন্দেশখালি মহিলাদের সঙ্গে দুষ্কর্ম করা শাহজাহানকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। এর মধ্যেও ধর্মীয় বিভাজনের তত্ত্ব খুঁজে পেয়েছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, "অপরাধীর নাম শাহজাহান বলেই কী তাঁকে বাঁচানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা করছে তৃণমূল?"
[আরও পড়ুন: প্রবল দাবদাহের মাঝেই পাঁচ মিনিটের ঝড়, তছনছ মথুরাপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা]
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের কাছে দেশের জন্য কোনও ভিশন নেই। ওরা শুধু ধর্মের নামে দেশটাকে বিভক্ত করতে চায়। তৃণমূল তোষণে ব্যস্ত। মোদির প্রশ্ন, ভোটব্যাঙ্ক কি মানুষের জীবনের থেকেও বড়? ভোটব্যাঙ্ক কি মানবধর্মের থেকেও বড়? প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, "কংগ্রেসের লোকেরা প্রকাশ্যে আমার বিরুদ্ধে ভোট জেহাদ করার কথা বলছে। আমাদের দেশে কয়েক দশক ধরে গোপনে এই ভোট জেহাদ চলছে। এবার প্রকাশ্যেই এরা ভোট জেহাদের (Vote Jihad) কথা বলছে। অথচ ভোট জেহাদকে সমর্থন করছে ইন্ডিয়া জোট।" প্রধানমন্ত্রী এদিন সরাসরি দেশের নামে ভোট চেয়েছেন। মোদি বর্ধমানের সভায় বললেন, "ওদের উত্তর দিতে হবে তো? আপনি দেশের নামে ভোট দিন। বিকশিত ভারতের জন্য ভোট দিন। তৃণমূল হোক, কংগ্রেস হোক, বামেরা হোক, এই ইন্ডিয়া জোট নিজেদের ভোটব্যাঙ্কের জন্য সবকিছু করতে পারে। তাই আমরা দেশের জন্য ভোট দেব।"