সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির বঙ্গ ইস্তেহার কমিটিতে চমক। সদস্য হিসাবে রাখা হল এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডলকে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই চিত্তরঞ্জন মণ্ডলকেও অতীতে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই (CBI)।
চিত্তরঞ্জনবাবু তৃণমূল আমলের প্রথম এসএসসি (SSC) চেয়ারম্যান। একটা সময় তৃণমূলের শিক্ষা সেলের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। বিজেপিতে যোগ দেন সেই ২০১৯ সালেই। তবে এতদিন কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিলেন। এমনকী ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনেও সেভাবে নজরে আসেননি। তিনি খবরে আসেন ২০২২ সালে সিবিআইয়ের ডাকে নিজাম প্যালেসে হাজিরার পরে। এবার ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের ইস্তেহার কমিটিতে তাঁকে রাখল গেরুয়া শিবির।
[আরও পড়ুন: নাভালনির মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প, তবে পুতিনের বদলে দুষলেন বাইডেনকে, কেন?]
২০১১ সালের জুন থেকে ২০১৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত এসএসসির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন চিত্তরঞ্জন। মঙ্গলবারই লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) ইস্তাহারের জন্য তৈরি প্রথম কমিটিতে যোগ দেন চিত্তরঞ্জন। এমনিতে জাতীয় দল বিজেপির ইস্তেহার তৈরি হয় দিল্লিতে বসেই। তবে এ বছর প্রতিটি রাজ্যে আলাদা আলাদা ইস্তেহার কমিটি গড়েছে। বাংলার কমিটিটি বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ির নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে। বিজেপির ইস্তেহারে বাংলার জন্য কী কী প্রয়োজন সেটা খুঁজে দেখা এই কমিটির কাজ।
[আরও পড়ুন: তিন সেনাকর্তাকে ফাঁসির সাজা মায়ানমারে! কেন এই পদক্ষেপ জুন্টার?]
এই চিত্তরঞ্জনবাবুই প্রথম এসএসসির পদে থাকাকালীন তৃণমূলের লোকেদের চাকরি দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। ২০২২ সালের শেষ দিকে সিবিআই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করে। তখন অভিযোগ ওঠে সুবীরেশকে এসএসসির চেয়ারম্যান পদে বসানোর জন্য তাঁর প্রাক্তনীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই অভিযোগের সত্যতা জানতে ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর চিত্তরঞ্জন মণ্ডলকে ডেকে পাঠায় সিবিআই। সেসময় শোনা যায়, তৃণমূল নেতাদের চাপেই ইস্তফা দিতে বাধ্য হন চিত্তরঞ্জন। পরেও একাধিকবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। এবার সেই চিত্তরঞ্জন সরাসরি বিজেপির ইস্তেহার কমিটিতে কাজ করবেন।