সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধূসর যৌনতা। ‘গ্রেসেক্সুয়ালিটি’ (Greysexuality)। গালফিলের অভিধানে দিব্যি জায়গা করে নিয়েছে এই শব্দ। কিন্তু এর অর্থ কী? প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে নিজেকে যৌন বিশারদ হিসেবে দাবি করতেই পারেন। আর না জানলে অবশ্যই জেনে নিতে পারেন। অভিধানের অর্থের বাইরেও ধূসর যৌনতা প্রসঙ্গে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন যৌনতা বিশারদ অ্যাশলে হ্যারিস (Ashely Harris)।
হ্যারিসের কথা অনুযায়ী, ধূসর যৌনতা বা ‘গ্রেসেক্সুয়ালিটি’ যৌন প্রবৃত্তিহীনতা এবং প্রবল যৌন চাহিদার মাঝামাঝি পর্যায়ে পড়ে। কিছু মানুষ খুব কম রতিক্রিয়ায় আকৃষ্ট হন। এক জীবনকালে হাতে গোনা কয়েকবারও হতে পারে। নির্দিষ্ট মানুষের প্রতিও হতে পারে। তার মানে এই নয় যে তাঁদের শরীরে যৌন চাহিদা নেই। আছে, তবে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে।
[আরও পড়ুন: সঙ্গীর কানেনিজের অভিযোগ কীভাবে তুলবেন ভাবছেন? এই চারটি উপায় অবলম্বন করে দেখুন]
কেমন করে বুঝবেন আপনি এই পর্যায়ে পড়েন কি না? কিছু প্রাথমিক লক্ষণ রয়েছে? এর উত্তরে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন,
- কোনও মানুষকে পছন্দ হলেও ‘গ্রেসেক্সুয়াল’রা আগে যৌন সম্পর্কের কথা ভাবেন না। আগে সেই মানুষটাকে বোঝার চেষ্টা করেন।
- এমনও হতে পারে যে যৌন সম্পর্কের প্রত্যাশা না রেখেই সম্পর্কে সঙ্গীর সঙ্গে জড়িয়েছেন।
- বিপদের সঙ্গে পাশে থাকেন। কথা বলার সঙ্গী হয়ে ওঠেন। যৌনতা ছাড়াও নিশ্চিন্তের ছোঁয়ার বুঝিয়ে দেন পাশে রয়েছেন।
- যৌনতা এঁদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। তবে সেটাই সব নয়। কাউকে পছন্দ হলে অনেক সময় নিয়ে কাছে আসেন এঁরা। তাও সবসময় নয়। নির্দিষ্ট সময়েই যৌন চাহিদা জাগতে পারে।
এর কী কোনও প্রতিকার রয়েছে? না, এটি সম্পূর্ণ হরমোনের কেরামতি। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নিজেদের চাহিদা সম্পর্কে ‘গ্রেসেক্সুয়াল’রা খুবই সচেতন। এর বাইরে তাঁরা যৌন সম্পর্কে এক্কেবারেই জড়াতে চান না। প্রয়োজনে সারা জীবনও যৌনতা ছাড়া কাটিয়ে দিতে পারেন। আবার জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও সঠিক সঙ্গীর সংস্পর্শে আসতে পারেন।
[আরও পড়ুন: ভারচুয়াল অধিবেশনে প্রেমিকার স্তনে চুম্বন, ভিডিও ভাইরাল হতেই সাসপেন্ড সাংসদ]
The post আপনিও কি ধূসর যৌনতার শিকার? কেন হয় এমনটা? জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা appeared first on Sangbad Pratidin.