সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসএসকেএমের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও নিজের বক্তব্যে অনড় কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। এবার তিনি পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিলেন। বললেন, ”একটা তো বিধায়ক পদ। আমাকে বললে প্রয়োজনে পদত্যাগ করব। আমাকে দল কী দিয়েছেন? ৫ বছরে ৫ মিনিটও সময় দেননি।” তাঁর এমন বিস্ফোরক বক্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, মদন মিত্রের এতদিনকার অভিমান এভাবে প্রকাশ্যে এল।
শনিবার দফায় দফায় এসএসকেএম (SSKM)-মদন মিত্র তরজা চলেছে। বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‘দরকার পড়লে পদ ছেড়ে দেব। একটা তো বিধায়ক পদ। দরকারে টিউশন করে উপার্জন করব। আমি সোনালি গুহ, শুভেন্দু অধিকারী, দীনেশ ত্রিবেদী বা মুকুল রায় নই। আমি মদন মিত্র! উনি আমাকে কী দিয়েছেন? ৫ বছরে পাঁচ মিনিটও সময় দেননি আমায়।’’ এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, মদন মিত্রের নিশানায় দলনেত্রী। নাম না করে কামারহাটির বিধায়কের দাবি, ”নেত্রীর সঙ্গে জেলে যাওয়ার জন্যও তৈরি ছিলাম। এখনও যদি উনি চান, তাহলে জেলে যেতে রাজি। উনি আমার নেত্রী। আমি তাঁকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু ওঁর নাম করে কেউ যদি আমায় কিছু বলে, তাহলে তা আমি মেনে নেব না।”
[আরও পড়ুন: হাই মাদ্রাসার ছাত্রীদের টেক্কা ছাত্রদের, আর্থিক সংকট কাটিয়ে প্রথম দরিদ্র পরিবারের সন্তান]
শুক্রবারের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এসএসকেএমের তরফে ডাঃ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন, হাসপাতাল চত্বরে কোনওরকম গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। তাতে মদনের পালটা প্রতিক্রিয়া, ”আমি গুন্ডামি করেছি, প্রমাণ করে দেখাক তো। আমি একজন রোগীকে ভরতি করাতে নিয়ে গিয়েছি। অনুরোধ করেছি ডাক্তারদের যে তাঁর দ্রুত চিকিৎসা করা হোক। একে গুন্ডামি বলা যায়?” খোদ মন্ত্রী সরকারি হাসপাতালে রোগী ভরতি করাতে গিয়ে যেভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, তাতে আমজনতার মনে প্রশ্ন উঠেই যাচ্ছে। বিষয়টি যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে মদন বনাম এসএসকেএম দ্বৈরথ আরও গড়ালে পরিস্থিতি সামলানো যে কঠিন হবে, তা স্পষ্ট।