অর্ণব দাস, বারাকপুর: বিরোধীদের ফের কড়া হুঁশিয়ারি কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra)। তৃণমূলের বদনাম করার চেষ্টা করলে ‘ডোজ’ দেওয়ার নিদান দিলেন তিনি। কামারহাটির বিধায়কের বক্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। আর তারপর থেকে রাজনৈতিক মহলে শুরু জোর চর্চা।
বেলঘরিয়া টেক্সমেকো কারখানায় কর্মী সংগঠনে বিজেপি (BJP) ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে। আর এর পিছনে তৃণমূল কর্মীদের একাংশের বড় ভূমিকা রয়েছে বলেও মনে করছে দলীয় নেতৃত্ব। বিষয়টি জানতে পেরেই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র কারখানার বাইরে সভা করেন। এই সভাতেই বিধায়ক কারখানার কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে যদি কেউ ক্ষতি করার চেষ্টা করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের ভিতরে থেকে বিজেপির দালালি করেন, বাইরে থেকে নোংরামি করে গায়ে কালি ছিটিয়ে তৃণমূলের বদনাম করার চেষ্টা করেন, তার ডোজ কেমন করে দিতে হয় এটা তৃণমূলের কর্মীরা ভাল করে জানে।”
[আরও পড়ুন: ‘ডেঙ্গু একটু একটু আছে, আরেকটু শীত পড়লে কমে যাবে’, অভয় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী]
বিধায়কের সংযোজন, “ভিতরে ভিতরে কারা ঘোটবাজি করছে আমি সব খবর পাচ্ছি।” এরপরই তিনি নন্দকুমারের সমবায় সমিতির ভোট প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। বলেন, “যদি বিজেপি, সিপিএম মনে করে এটাকেও নন্দকুমার বানাব, আমি থ্রেট করছি না, তবে আসা যাওয়ার পথে একটু সাবধানে আসবেন। রাস্তায় খানাখন্দ আছে, বাম্পার আছে, কখন কোথায় টপকে যাবেন তখন নিজেদের বুঝতেই অসুবিধা হবে।”
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটকে লক্ষ্যসীমা হিসাবে ধরে এগোচ্ছে শাসক বিরোধী উভয়পক্ষ। তারই মাঝে আচমকা কেন একাংশ দলীয় কর্মীর ভূমিকায় কেন সন্দেহ প্রকাশ করলেন মদন মিত্র, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে জোর আলোচনা। নিশ্চয়ই কিছু বুঝেছেন বলে একথা বললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক, দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাতেই রাজি নন। তিনি বলেন, “এদের কথার উত্তর হয়? আজ যা বলবে কাল অন্য কথা বলবে।”