সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সানন্দা তিলোত্তমা তিনি। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেই চোখ মুগ্ধ হতে বাধ্য। তবে বাহ্যিক এই সৌন্দর্যের বাইরেও এমন একটা মানুষ রয়েছে। যাঁর মনে বাস পাহাড়ের। বরফে ঘেরা পাহাড়ের সেই হাতছানিতেই ফের পিঠে রুকস্যাক তুলতে চলেছেন মডেল মাধবীলতা মিত্র। এবার দক্ষিণ মেরুতে পাড়ি দেবেন তিনি। শামিল হবেন চার বারের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী অভিযাত্রী জ্যান মিকের দলে। ছ’জনের দলের সঙ্গে দক্ষিণ মেরুতে পাড়ি দেবেন বঙ্গতনয়া।
[নেই শাহরুখ, ফোর্বস-এর সেরা ১০০-র তালিকায় ঠাঁই অক্ষয়-সলমনের]
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের সঙ্গে কথা বলার সময়ও কণ্ঠে ছিল রোমাঞ্চের ছোঁয়া। রূপকথার স্বপ্নকে কাছ থেকে দেখার আকুলতা। তবে অজানাকে জানার এই খিদে মাধবীলতার আজকের নয়। স্কুলজীবন থেকেই শুরু হয়েছিল এ যাত্রা। ১৯৯৯ সালে প্রথম রক ক্লাইম্বিং কোর্স করেন। ২০০০ সালে করেন বেসিক মাউন্টেনিয়ারিং কোর্স। হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউটেও যান তিনি। ২০০৪ সালের মধ্যে নিজেই প্রশিক্ষক হয়ে যান। এইচএমআই-তে অতিথি প্রশিক্ষকের দায়িত্বও সামলেছেন। ২০০৬ সালে সানন্দা তিলোত্তমা হন। ব্যস্ত হয়ে যান মডেলিংয়ে। পাহাড় অভিযানে ছেদ পড়ে ব্যস্ততায়।
কিন্তু বরফে ঘেরা পাহাড়ের টান থেকে দূরে থাকা যে অসম্ভব। বিশেষ করে যাঁরা এ সৌন্দর্যের সাক্ষী হয়েছেন। সময়ের কারণে যে ধুলো মনের মধ্যে জমে ছিল, তা সরিয়ে দেন মাধবীলতার স্বামী ভূপেশ গুপ্তা। কার্শিয়াংয়ের ছেলেরও অভিযানের শখ রয়েছে। তিনিই ফের জাগালেন সূপ্ত প্রতিভাকে। নতুন করে অভিযান শুরু করেন মাধবীলতা। খোলেন ট্রাভেল কোম্পানিও। এর মাঝেই অঙ্কিতা মিত্রের মাধ্যমে দেখা হয় রাজীব দালালের সঙ্গে। তাঁর মাধ্যমেই যোগাযোগ হয় জ্যান মিকের সঙ্গে। নিজের অল উওমেন সাউথ পোল এক্সপেডিশনের জন্য অভিযাত্রী খুঁজছিলেন জ্যান। ৭৪ বছরের জ্যানই এই দলের নেতৃ। তিনিই অনলাইনে মাধবীলতার ইন্টারভিউ নেন। নির্বাচিত হন বঙ্গতনয়া। গোটা দেশ থেকে আর মাত্র একজন নির্বাচিত হয়েছেন। পেশায় আর্কিটেক্ট তনভি বুচ। দু’জনে প্রথমে যাবেন আয়ারল্যান্ডে। সেখানে বেশ কিছুদিনের প্রশিক্ষণ নেবেন। তারপর ডিসেম্বরে স্লেজ গাড়ি, পেঙ্গুইনের দেশের উদ্দেশ্যে শুরু হবে বাঙালি কন্যার যাত্রা।
[ফিরছে ‘দিল ধড়কনে দো’ জুটি, আবার একসঙ্গে বড়পর্দায় প্রিয়াঙ্কা-ফারহান]
The post পেঙ্গুইনের দেশে বঙ্গতনয়া, দক্ষিণ মেরু অভিযানে যাচ্ছেন মাধবীলতা appeared first on Sangbad Pratidin.