সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে আসনসংখ্যা ৯৯-এ পৌঁছে যাওয়ায় কংগ্রেসের অন্দরে একটা 'ফিল গুড' ফ্যাক্টর তৈরি হয়েছিল। হরিয়ানায় অপ্রত্যাশিত হারে সেই ফিল গুড ফ্যাক্টর উধাও। শুরু হয়েছে দোষারোপের খেলা। যা কিনা প্রভাবিত করছে মহারাষ্ট্রের নির্বাচনকেও। সূত্রের খবর, হরিয়ানায় যে রাহুল গান্ধী জোট শরিক আম আদমি পার্টিকে আসন ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন, তিনিই মহারাষ্ট্রে শরিক শিব সেনা ইউবিটিকে বাড়তি আসন ছাড়া নিয়ে অখুশি, ক্ষুব্ধ।
রাহুল মনে করছেন, মুম্বই এবং বিদর্ভ, কংগ্রেসের এই দুই শক্ত ঘাঁটিতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি আসন ছাড়া হয়েছে শিব সেনার উদ্ধব শিবিরকে। এমনিতে জোট শরিকদের সঙ্গে আসনরফার কাজটা রাহুল ছাড়েন রাজ্য নেতৃত্বের উপরই। যেমনটা হরিয়ানায় হয়েছিল। মহারাষ্ট্রেও আসন রফা নিয়ে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিধায়ক দলের নেতা বালাসাহেব থোরাট, দলের রাজ্য পর্যবেক্ষক রমেশ চেন্নিথালা এবং রাজ্য সভাপতি নানা পাটোলেকে। কিন্তু এই তিন নেতা যেভাবে আসনরফা করেছেন তাতে ক্ষুব্ধ রাহুল। তিনি মনে করছেন, বিদর্ভ এবং মুম্বইয়ে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিতে উদ্ধবের শিব সেনা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি আসন ছাড়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এমন সব আসন ছাড়া হয়েছে, যে গুলি কংগ্রেসের পক্ষে সম্ভাবনাময়। দলের রাজ্য নেতারা জোরালোভাবে নিজেদের কথা বলতে না পারায় এইসব আসন হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের।
শুধু তাই নয়, দলের প্রার্থী তালিকা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে রাহুলের। এ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ৭১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। রাহুল মনে করছেন, এই প্রার্থী তালিকায় ওবিসিদের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি প্রধান্য পেয়েছে। বাকিরা উপেক্ষিত। ‘পক্ষপাতদুষ্ট তালিকা’ তৈরির জন্য রাহুলের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন চেন্নিথালা এবং পাটোলেও। পরবর্তী তালিকায় সেই ভুল শুধরে নেওয়ার বার্তাও দেওয়া হয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, রাহুল যে আসনরফাকে লোকসান বলে মনে করছেন, সেই আসনরফাও এখনও চুড়ান্ত হয়নি। কংগ্রেস চেয়েছিল মহারাষ্ট্রে অন্তত ১১০টি আসনে লড়তে। তাতে উদ্ধব সেনা রাজি হয়নি। শেষে ৮৫-৮৫-৮৫ আসনের একটি সূত্র ঘোষণা করা হয়েছে। আরও কয়েকটি আসন হয়তো কংগ্রেস পাবে। সেটা কোনওভাবেই ১১০ নয়। আবার কংগ্রেসের দাবির অনেক আসন ছাড়তে রাজি হননি উদ্ধব ঠাকরে। শনিবার রাতেও শরদ পওয়ার এবং উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেছেন বালাসাহেব থোরাট। কিন্তু তাতেও মেলেনি সমাধান সূত্র।