সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্যায় করে জেলে গিয়েছেন। খুন, ধর্ষণ, ডাকাতির মতো গুরুতর অপরাধের জন্যই গারদের ওপারে ঠাঁই হয়েছে তাঁদের। তবে এবার জেলবন্দিদের জন্য নানা সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করতে চলেছে মহারাষ্ট্র (Maharashtra)। ফুচকা থেকে শুরু করে আইসক্রিম- একাধিক খাবারের ব্যবস্থা থাকছে জেলবন্দিদের জন্য। চুলে রং করার ব্যবস্থাও থাকছে জেলের অন্দরেই। তবে প্রশ্ন উঠছে, সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের জন্য এত সুযোগসুবিধার আয়োজন কেন? অনেকের দাবি, সাধারণ মানুষের করের টাকায় জেল যেন পিকনিক হয়ে উঠছে।
জেলের মধ্যেই নানা জিনিস কিনতে পারেন বন্দিরা। তবে নির্দিষ্ট কিছু সামগ্রীই মেলে সেখানে। এবার জেলের মধ্যেও পাওয়া যাবে ১৭৩টি জিনিস, যা আগে মিলত না। তার মধ্যেই রয়েছে নানা খাবার। সেই তালিকায় রয়েছে ফুচকা, আচার, বাদাম চাকি, আইসক্রিম, পিনাট বাটারে ইত্যাদি। কফি পাউডার বা সুগারফ্রি মিষ্টিও এবার পাওয়া যাবে জেলের অন্দরেই।
[আরও পড়ুন: LGBT আন্দোলন মানেই উগ্রপন্থা! দেশজুড়ে সমকাম ও রূপান্তরকাম নিষিদ্ধ করছে রাশিয়া]
শুধু খাবারই নয়, জেলে পাওয়া যাবে দৈনন্দিন ব্যবহারের আরও নানা সামগ্রী। বারমুডা শর্টসের পাশাপাশি টিশার্ট কিনতে পারেন বন্দিরা। পাওয়া যাবে ফেস ওয়াশ, চুলের রং। মাদকের নেশা কাটাতে নিকোটিন সমৃদ্ধ ট্যাবলেটও কেনা যাবে জেলের মধ্যে থেকেই। সবমিলিয়ে ১৭৩টি জিনিসের তালিকা তৈরি করেছে মহারাষ্ট্রের কারা দপ্তর।
জেলের এডিজিপি অমিতাভ গুপ্ত জানিয়েছেন, “খুব বেশি বিধিনিষেধ থাকলে বন্দিদের মানসিক অবস্থাও খারাপ হতে পারে। যদি হাতের নাগালে বেশ কিছু জিনিস পাওয়া যায়, তাহলে সামগ্রিকভাবে বন্দিদের উন্নতি হবে।” তবে এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই আলোচনা শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়। অনেকের প্রশ্ন, বন্দিদের জন্য এত আয়োজন করার কী দরকার? কারোওর মতে, সংশোধনাগার যেন পিকনিক হয়ে উঠেছে।