সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আতঙ্কের মধ্যেই নতুন অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল মহারাষ্ট্রের শাসক শিবিরে। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে (Uddhav Thackeray) স্বস্তি দিয়ে নির্বাচন কমিশন মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের নির্বাচনে সায় দিয়েছে। এতে কুরসি হারানোর ভয় কাটলেও শরিকি কোন্দল সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে। অবশেষে উদ্ধবের অনুরোধেই হল কাজ।
সামনেই মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের (Maharashtra Legislative Council) ৯টি আসনে নির্বাচন। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব চাইছিলেন করোনা আবহে নির্বাচন করার প্রয়োজন নেই। যার যেমন শক্তি, তাঁরা সেইমতো প্রার্থী দেবে। সেইমতো বিরোধী বিজেপি (BJP) ৪টি আসনে প্রার্থী দেয়। শাসক জোটের দুই বড় শরিক শিব সেনা এবং এনসিপি ২টি করে প্রার্থী দেয়। কথা ছিল অবশিষ্ট আসনটিতে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস (Congress)। কিন্তু শেষবেলায় বেঁকে বসে হাত-শিবির। তারাও দুটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। ফলে ৯ আসনের জন্য ১০ জন প্রার্থী হয়ে যায়। কোনও প্রার্থী যদি মনোনয়ন প্রত্যাহার না করতেন, তাহলে শেষপর্যন্ত নির্বাচনেই যেতে হত। করোনার এই আবহে যে একেবারেই কাম্য নয়। কিন্তু শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে কংগ্রেস নিজেদের একজন প্রার্থীর নাম প্রত্যাহার করে নিল।
[আরও পড়ুন: ‘আমি একদম সুস্থ, কোনও রোগ হয়নি’, টুইটারে স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা ওড়ালেন অমিত শাহ]
তাছাড়া নির্বাচন হলেও বিরোধী শিবিরে অস্বস্তি বাড়ত বই কমত না। কারণ, ২৮৮ আসনের বিধানসভায় একটি আসনে জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৯ জন বিধায়কের সমর্থন। বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০৫। তাদের ৩ আসনে জয় নিশ্চিত। চতুর্থ আসনে জয়ের জন্য ভরসা করতে হত নির্দলদের উপরে। আবার শাসক শিবির নিজেদের ক্ষমতায় জেতাতে পারবে ৫ জন প্রার্থীকে। ষষ্ঠ আসনে জিততে হলে তাদেরও জোগাড় করতে হত নির্দলদের সমর্থন। এর আগে এই ধরনের নির্বাচনগুলিতে বিজেপি যে সক্রিয়তার সঙ্গে নির্দল বা ছোট দলগুলোর বিধায়কদের নিজেদের শিবিরে ভিড়িয়েছে, তাতে এবারেও তাদেরই পাল্লা ভারি ছিল। এখন এই ষষ্ঠ আসনের প্রেস্টিজ ফাইটে যদি শাসক শিবির হারতো, তাহলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হত তাতে সংশয় নেই। তাই উদ্ধব চাইছিলেন, বুঝিয়ে সুঝিয়ে কংগ্রেসের একজন প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করাতে। শেষপর্যন্ত সেটাই হলো।
The post উদ্ধবের অনুরোধ রাখল কংগ্রেস, মহারাষ্ট্রে হচ্ছে না বিধান পরিষদের নির্বাচন appeared first on Sangbad Pratidin.