সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানে (Pakistan)। এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল, সোমবার থেকে দেশের পাঞ্জাব প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ সাত শহরাঞ্চলে লকডাউন ঘোষণা করেছে ইমরান প্রশাসন। পরবর্তী দু’সপ্তাহ এই লকডাউন (Lockdown) থাকবে লাহোর, রাওয়ালপিণ্ডি, সারগোধা, ফয়সলাবাদ, মুলতান, গুজরানওয়ালা ও গুজরাটে। রবিবার পাক সংবাদমাধ্যম ‘ডন নিউজ’ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
পাঞ্জাব প্রদেশের সরকারের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, লকডাউন চলাকালীন কোনও ধরনের জমায়েত করা যাবে না। বন্ধ রাখতে হবে বিয়ের অনুষ্ঠানও। বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্কোয়েট হল, কমিউনিটি সেন্টারগুলি। বন্ধ থাকছে রেস্তোরাঁও। তবে খাবারের হোম ডেলিভারি করা যাবে। তাছাড়া সব ধরনের খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও বন্ধ। এদিকে রাজধানী ইসলামাবাদেও সকলকে করোনাবিধি মেনে চলার আরজি জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পাপোশ হয়ে আমাজনে বিকোচ্ছে শ্রীলঙ্কার জাতীয় পতাকা! চিনা সংস্থার কীর্তিতে ক্ষুব্ধ কলম্বো]
পাকিস্তানে টিকাকরণ শুরু হয়েছে ভারতে তা শুরু হওয়ার বেশ কিছুদিন পরে। তবে টিকাকরণ শুরু হলেও ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়ে যায় গোড়া থেকেই। কেননা চিনের (China) স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে সম্পূর্ণ সবুজ সংকেত পাওয়ার আগেই সেই টিকা ব্যবহার শুরু করে দেয় ইসলামাবাদ। এমনিতে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। এই অবস্থায় ইমরানের দেশের পক্ষে টিকা কেনা খুবই সমস্যার। কয়েক দিন আগেই খোওয়াজা জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে টিকা কেনার কোনও পরিকল্পনা পাকিস্তানের নেই। তাঁদের ভরসা হার্ড ইমিউনিটি বা গোষ্ঠী অনাক্রম্যতা এবং বন্ধু দেশগুলির থেকে ‘উপহার’ হিসেবে পাওয়া টিকা। এই পরিস্থিতিতে GAVI-র সাহায্যে সাড়ে চার কোটি ভারত-নির্মিত ভ্যাকসিনের (COVID vaccine) ডোজ পাচ্ছে পাকিস্তান।
কেবল পাকিস্তানই নয়, গোটা বিশ্বেই ক্রমে ফের আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস। অবশ্যই নয়া স্ট্রেনের কারণে এই পরিস্থিতি। পরিস্থিতি এমনই যে, আবারও লকডাউনের পথে হাঁটতে চলেছে ইটালি (Italy)। এদিকে জার্মানিতে (Germany) শুরু হয়েছে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ। এদিকে ভারতকে পিছনে ফেলে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ব্রাজিল।
[আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় নিষিদ্ধ হচ্ছে বোরখা, বন্ধের মুখে হাজারের বেশি ইসলামিক স্কুলও, ঘোষণা মন্ত্রীর]
পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে ভারতেও। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে। চলতি মাসে প্রথমবার দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ২৫ হাজার। যার বেশিরভাগটার জন্যই দায়ী মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় স্রেফ মারাঠাভূমে এই মারণ ভাইরাসের কবলে পড়েছেন প্রায় ১৬ হাজার মানুষ। বিপদের আঁচ বুঝে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ঘোষণা করে দিয়েছেন, মহারাষ্ট্রবাসী এখনই সতর্ক না হলে এরপর গোটা রাজ্যে সার্বিক লকডাউনের পথে হাঁটবেন তিনি। তবে শুধু মহারাষ্ট্র নয় করোনার প্রকোপ বাড়ছে আরও অন্তত ৫ রাজ্যে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কেরল, তামিলনাড়ু, উত্তরাখণ্ড।