সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ঘটে যেত পারত ওড়িশার বাহানাগার মতো বড় ট্রেন দুর্ঘটনা। ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) খোলা ছিল রেলসেতুর নাটবোল্ট। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা এই কাজ করেন। তবে বিপদ ঘটার আগেই রেলকর্মীদের নজর পড়ে যায়। দ্রুত ব্যবস্থা নেন তাঁরা। ফলে এড়ানো গিয়েছে বড়সড় দুর্ঘটনা। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা তদন্তে নেমেছে রেল পুলিশ।
ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের হাতিয়া-রৌরকেল্লা রেললাইনের। খোলা ছিল সুবর্ণরেখা রেলসেতুর তিনটি নাটবোল্ট। বিষয়টি রেলকর্মীদের চোখে পড়তেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। লাগানো হয় খোলা নাটবোল্টগুলিকে। রেল পুলিশ জানিয়েছে, কেউ বা কারা শুক্রবার রাতে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ব্রিজের ৪২৮ নম্বর পোলের তিনটি নাটবোল্ট খোলা ছিল। জায়গাটি জগন্নাথপুর এবং ধ্রুব থানার মাঝামাঝি জায়গায় পড়ে। নাশকতাই কি উদ্দেশ্য ছিল? নাকি অন্য কিছু, এখনও বিষয়টি স্পষ্ট নয় রেল পুলিশের কাছে। এফআইআর দায়ের করে তদন্তে শুরু করেছে আরপিএফ।
[আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল, লাস্যের হাতছানি, পাকিস্তানকে প্রতিরক্ষার গোপন নথি পাচার DRDO’র বিজ্ঞানীর]
উল্লেখ্য, গত ২ জুন সন্ধেয় তিন ট্রেনের সংঘর্ষে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল গোটা দেশ। একসঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মালগাড়ি, শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) এবং যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস। যার জেরে প্রাণ হারান ২৯০ জন। আহত হন বারোশোরও বেশি যাত্রী। সেই দুর্ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। তদন্তে নেমে শুক্রবার তিন রেল আধিকারিককে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।