সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির কাছে পাহাড় এবং সমুদ্র বেড়াতে যাওয়ার অন্যতম আকর্ষণ। পাহাড়ের টানে দেশের একাধিক পার্বত্য অঞ্চলে বছরের বেশিরভাগ সময়ই বাঙালির দেখা মেলে। আর পার্বত্য অঞ্চলগুলি জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট হয়ে ওঠায় প্রায় সারাবছরই সেখানে থাকে লোকের কোলাহল।
কিন্তু পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার প্রধান কারণ হল কটা দিন নীরব প্রকৃতির কোলে চুপটি করে বসে থাকা এবং প্রকৃতির মাধুর্যকে নিঃশব্দে উপভোগ করা। পাহাড়ে ট্যুরিস্ট স্পট গড়ে ওঠায় সেই স্বপ্ন খুব সহজে পূর্ণ হয় না।
কিন্তু এই প্রতিবেদনে এমনই এক পাহাড়ি অঞ্চলের ঠিকানা রইল পাঠকদের জন্য, যাঁর সন্ধান ট্যুরিস্টরা এখনও পাননি। মালানা হিমাচল প্রদেশের কুলু গ্রামে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা একটি অঞ্চল। এখনও তেমন প্রচার না পাওয়ায় এই পার্বত্য অঞ্চলটি এমনিতে খুব শান্ত। পাশাপাশি, এই অঞ্চলের অধিবাসীদের সম্পর্কে প্রচলিত রয়েছে একটি অদ্ভুত গল্প। শোনা যায়, এই অঞ্চলের অধিবাসীরা নাকি গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের বংশধর। তাঁদের জীবনযাপন, কথাবার্তার মধ্যেও নাকি গ্রিক ভাবধারা স্পষ্ট লক্ষ্য করা যায়। শুধু তাই নয়, এই অঞ্চলের বাসিন্দারা জমলু ঋষি নামের এক ঈশ্বরের পুজো করেন। স্থানীয়রা মনে করেন ঈশ্বরের কৃপায় এই অঞ্চলে কোনও রকম দুর্যোগ হয় না।
চন্দ্রখানি এবং দেওটিব্বা, এই দুই পর্বত চূড়া এই অঞ্চলকে ঘিরে রেখেছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, এই দুই পর্বত চূড়া এই অঞ্চলকে গোটা পৃথিবীর কোলাহল এবং ভিড় থেকে আলাদা করে রেখেছে। এই অঞ্চলে বজায় থেকেছে শান্তি এবং প্রকৃতির মেলবন্ধন।
The post হিমাচলের পাহাড়ে অজানা গাঁয়ের খোঁজে appeared first on Sangbad Pratidin.