বাবুল হক, মালদহ: দু’দিনের বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তি মালদহের (Maldah) বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। জল ঢুকেছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগেও। চিকিৎসা করাতে এসে চরম ভোগান্তিতে রোগী ও রোগীর পরিবার। অপারেশন থিয়েটারেও ঢুকেছে জল। গত কয়েক বছর ধরেই এই সমস্যায় ভুগছে হাসপাতাল। মালদহ মেডিক্যাল হাসপাতাল সুপার ডা. পুরঞ্জয় সাহা জানিয়েছেন, শহরের নিকাশি ব্যবস্থায় সমস্যা রয়েছে। তাই হাসপাতালে জল ঢুকছে।
মঙ্গলবার রাতভর এবং বুধবার ভোররাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টিতে মালদহ শহরের রথবাড়ি, সবজি বাজার এবং নেতাজি পুর এলাকায় একাধিক দোকানে জল ঢুকে যায়। পুর বাজারের একাধিক দোকানে জল ঢুকে যায়। হাঁটু জলেই দাঁড়িয়ে বিক্রিবাটা করতে দেখা যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের। জল থই থই মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বর। জরুরি বিভাগ-সহ অন্যান্য বিভাগেও জল ঢুকেছে। জরুরি বিভাগের সামনে হাঁটু জল। ফলে রোগীদের এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করতে সমস্যায় পড়ছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। মুশকিলে পড়ছেন হাসপাতালের কর্মীরাও। চরম ভোগান্তিতে পড়ছেনে রোগীরাও। শয্যার উপর পা তুলে বসে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। অপারেশন থিয়েটারে জল ঢুকেছে। ফলে অস্ত্রোপচারে সমস্যা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: শহরে মন টিকছে না? পুজোয় একবেলার জন্য বেড়িয়ে আসুন এই ৫ জায়গা থেকে]
কিন্তু কেন এমন দুর্ভোগ? হাসপাতাল সূত্রে খবর. ভারী বৃষ্টি হলেই এই হাসপাতালে এমন সমস্যা হয়। গত দেড় বছরে ৬-৭বার এধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে হাসপাতালে ভরতি রোগীদের। এ প্রসঙ্গে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তথা ভাইস প্রিন্সিপ্যাল ডা. পুরঞ্জয় সাহা জানান, “হাসপাতালের নিকাশি ব্যবস্থা ঠিকই আছে। কিন্তু শহরের নিকাশি ব্যবস্থায় সমস্যা রয়েছে। হাসপাতালের সামনে জাতীয় সড়কের উপর একটি বড় ড্রেন রয়েছে। হাসপাতালের জল সেখানে পড়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না। সামনের রাস্তার চেয়ে নিচু হাসপাতাল। ফলে জল জমছে।”
[আরও পড়ুন: শিক্ষক বদলি নিয়ে সিএমওএইচ-কে ভর্ৎসনা, জরিমানা করে ফের স্বাস্থ্যপরীক্ষার নির্দেশ হাই কোর্টের]
এদিকে সম্প্রতি একাধিকবার হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেছিলেন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, শহরের নিকাশি ব্যবস্থার জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি হচ্ছে। সেটা হয়ে গেলে আর কোনও সমস্যা হবে না।