সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহম্মদের ইউনুসের সরকারের আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে পালটে গিয়েছে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক। পদ্মাপাড়ে এখন বইছে ভারত বিরোধী হাওয়া। কিন্তু এহেন পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের জন্য বাজেট বরাদ্দ কমাল না ভারত। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য বরাদ্দ ছিল ১২০ কোটি টাকা। এবারের বাজেটেও সেই অঙ্ক অপরিবর্তিতই রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বাংলাদেশের জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ১৫৭.৬৩ কোটি টাকা। কিন্তু পরের অর্থবর্ষে তা কমিয়ে করা হয় ১২০ কোটি টাকা। যা অপরিবর্তিত রাখা হল এবারও। প্রসঙ্গত, মুজিবকন্যার প্রত্যর্পণ, হিন্দু নির্যাতন, সীমান্তে অশান্তি- এরকম একাধিক বিষয়ে দুদেশের সম্পর্কে চাপানউতোর চলছে। কিন্তু টালমাটাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতেও ভারত বাজেট বরাদ্দ কমাল না।
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই পদক্ষেপের পিছনে রয়েছে কূটনৈতিক চাল। আসলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতিকে কাজে লাগিয়ে মঞ্চে অবতীর্ণ হয়েছে চিন ও পাকিস্তান। আর তাই দেশের পূর্ব সীমান্তের দেশটির কাছে ভারত কার্যত বার্তা দিতে চাইছে যে, এই অবস্থাতেও তারা বাংলাদেশ প্রশাসনের উপরে আস্থা রাখতে চাইছে। বর্তমান পরিস্থিতি যেমনই হোক, আগামিদিনে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এই আশাই করছে নয়াদিল্লি। বাজেট বরাদ্দ অপরিবর্তিত রেখে এই বার্তাই দিচ্ছে মোদি সরকার।
অন্যদিকে গত বাজেটে প্রতিবেশী মালদ্বীপের জন্য ভারত সরকার বরাদ্দ করেছিল ৪৭০ কোটি টাকা। যা এবার বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা। এখানে বলে রাখা দরকার, ২০২৩-২৪ সালে এই অঙ্ক ছিল ৮৩২.৮৩ কোটি টাকা। যা একধাক্কায় অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে শুরু হওয়া টানাপোড়েনের দিকে লক্ষ রেখে। এবার যা বাড়ল ২৮ শতাংশ।
পাশাপাশি নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মঙ্গোলিয়ার জন্য বরাদ্দ যা ছিল তাই রাখা হয়েছে। এদিকে একধাক্কায় আফগানিস্তানের বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে। আবার ভুটানের জন্য গতবার আড়াই হাজার কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করা হলেও তা এবার কমিয়ে ২১৫০ কোটি টাকা করা হয়েছে।