সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে মাত্র ৭ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন বিরাট কোহলি। শেষমেশ সে ম্যাচ হেরেই যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে সোমবার ওয়াংখেড়েতে একেবারে চেনা ছন্দে অবতীর্ণ কিং কোহলি। গড়লেন নয়া রেকর্ডও। কোহলির সঙ্গে টেক্কা দিয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স ক্যাপ্টেন রজত পাতিদারেরও। দুই ব্যাটারের সৌজন্যেই দু'শোর গণ্ডি পেরিয়ে গেল আরসিবি। পাঁচ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ২২১ রান। কিন্তু কামব্যাক ম্যাচে ঝুলি শূন্যই রইল বুমবুম বুমরাহর।
এদিন টস জিতেই অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়ার মুখে ছিল চওড়া হাসি। কারণ দু'টি। আরসিবি-র বিরুদ্ধে রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নিতে পারা। এবং অবশ্যই দলে বুমরাহ ও রোহিত শর্মার মতো দুই স্তম্ভকে ফিরে পাওয়া। প্রথমেই সল্টকে ফিরিয়ে শুরুতে মুম্বই সমর্থকদের মন জিতে নেন ট্রেন্ট বোল্ট। কিন্তু ক্রিজে জাঁকিয়ে বসেন কোহলি। দেবদূত পাড়িক্কলের সঙ্গে জুটি বেঁধে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলারদের জোর ধাক্কা দেন বিরাট। ৪২ বলে ৬৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। প্রথম ভারতীয় হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১৩ হাজার রানের মালিক হওয়া থেকে ১৭ রান দূরে ছিলেন আরসিবির প্রাক্তন অধিনায়ক। এদিন সেই মাইলস্টোন টপকে যান তিনি। বিশ্বের পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে কুড়ি-বিশের ফরম্যাটে ১৩ হাজার রান তাঁর ঝুলিতে।
বিরাট ও দেবদূত (৩৭) প্যাভিলিয়নে ফিরলে দলের হাল ধরেন পাতিদার এবং জিতেশ শর্মা। ৬৪ রানে ফেরেন পাতিদার। যদিও ততক্ষণে দু'শোর গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে আরসিবি। দুটি করে উইকেট নেন বোল্ট ও পাণ্ডিয়া। গত ম্যাচে লখনউয়ের কাছে মুখ থুবড়ে পড়েছিল রোহিতহীন মুম্বই। আজ ঘরের মাঠে জয়ের সরণিতে দল ফিরতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।