কিংশুক প্রামাণিক: দেশজুড়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন (Omicron)। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ১০ জনের শরীরে মিলেছে এই স্ট্রেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনে ফের বন্ধ করা হতে পারে স্কুল-কলেজ, সাগরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
মঙ্গলবার গঙ্গাসাগরে যান মুখ্যমন্ত্রী। পুজো দিয়েছেন কপিলমুনির আশ্রমে। আজ অর্থাৎ বুধবার সাগরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠক করলেন তিনি। সেখানেই আলোচনা করলেন রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে। ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ নেন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির। ওমিক্রন থেকে বাঁচতে প্রত্যেককে সতর্ক হওয়ার বার্তা দেন। প্রত্যেককে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এরপরই মমতা বলেন, “করোনার তৃতীয় ঢেউ এসে গিয়েছে। যদি স্কুলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে সেক্ষেত্রে ফের বন্ধ করা হতে পারে স্কুল। একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে কলেজ-সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়েও।”
[আরও পড়ুন: WB Civic Polls: ‘মারের বদলে পালটা মার হবে’, আসানসোল পুরভোটের আগে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি অগ্নিমিত্রা পলের]
এদিন বৈঠকে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের কাছে কলকাতার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলাদা ভাবে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই পরিস্থিতি বিবেচনা করে কনটেনমেন্ট জোন করার পরামর্শ দেন। তবে বছরের শেষ ও নতুন বছরের শুরুতে রাজ্যবাসীর বিভিন্ন প্ল্যান থাকে। সেই কারণে ৩ জানুয়ারি থেকে কনটেনমেন্ট জোন করার কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি প্রয়োজনে ফের অফিস-কাছারির ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর দেওয়ার কথাও বলেন। প্রয়োজনে লোকাল ট্রেন নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে গঙ্গাসাগর মেলার আগে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওমিক্রন। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডেল্টার থেকে ৩ গুণ বেশি সংক্রমণ ক্ষমতা ধরে করোনার এই অবতার। এখনও পর্যন্ত ১০৯টি দেশে ছড়িয়েছে এই স্ট্রেন। এই মুহূর্তে ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮১। যার ফলে রাজ্যগুলির জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।