shono
Advertisement

‘দিদির সুরক্ষা কবচ’প্রকল্পের উদ্দেশ্য ঠিক কী? ব্যাখ্যা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আগামী ২ মাসের জন্য এই প্রকল্পের সূচনা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
Posted: 01:13 PM Jan 02, 2023Updated: 02:12 PM Jan 02, 2023

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়:  পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের (TMC) মাস্টারস্ট্রোক ‘ দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি। ঘরে ঘরে গিয়ে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন কি না, তার খোঁজ নেবেন ‘দিদির দূত’রা। এছাড়া আরও  অনেক ধাপেই কাজ হবে এই প্রকল্পে। সোমবার নজরুল মঞ্চ থেকে  এই কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন দলীয় সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর কেন এই কর্মসূচি, কী কী সুবিধা মিলবে, এই সবই তিনি নিজে ব্যাখ্য়া করলেন। জানালেন, ‘দুয়ারে সরকারে’র যে রূপরেখা, তার উপর ভিত্তি করেই ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ (Didir Suraksha Kabach) চালু হল দলীয় স্তরে। এর লক্ষ্য অনেক বড়। ঘরে ঘরে শাসকদলকে পৌঁছে দেওয়া, যা নিবিড় জনসংযোগের হাতিয়ার। আপাতত ২ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছবে এই কর্মসূচি। চালু হয়েছে ‘দিদির দূত’ অ্যাপ।

Advertisement

কর্মসূচি উদ্বোধনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই সম্পর্কে জানালেন। ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ নামটি দেওয়া তৃণমূলের আইটি (IT)সেলের।  এর আগে উনিশের লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) আগে ‘দিদিকে বলো’ (Didike Bolo) নামে কর্মসূচি বহুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। আর তা ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ সূচনাকে একধাপ এগিয়ে দিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”দুয়ারে সরকারের আইডিয়ার আরেকটা রূপ এই কর্মসূচি। সরকার যে কাজ করছে, করুক। পাশাপাশি পার্টির কাছেও কিছু অভিযোগ আসে। তা এলে কাজ করতে হবে দলীয় স্তরে। অনেক প্রযুক্তিগত সমস্যা থাকে। কিন্তু মানবিক কারণে তা এড়িয়ে সমাধানের কাজটা আগে করতে হবে।”

[আরও পড়ুন: মোদির নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত আইনত বৈধ, রায় সুপ্রিম কোর্টের]

দলের নেতাদেরও কাজ সম্পর্কে ফের সচেতন করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, ”নেতাদের দুর্নীতিতে নজরদারি রাখতে হয়। কে ঠিক করে কাজ করে, সেটা দেখতে হয়। কৈফিয়ত তো পঞ্চায়েতকে নয়, আমাকে দিতে হবে মানুষের কাছে। একটা পোকা ধানে জন্মায়। সেটাকে বিনাশ না করলে আগেই নষ্ট করতে হবে। নাহলে সমূলে বিনাশ প্রত্যেকের নিজস্ব কাজ আছে। এখন তো সরাসরি টাকা হাতে পায় সবাই। সেটাকে কন্ট্রোল করার জন্য নজরে রাখতে হয়। আমিও কিন্তু দলের উর্ধ্বে নই, মানুষের উর্ধ্বে নই। রোজ আমার রুটিন মেনে চলি।” 

[আরও পড়ুন: ‘রামনামে ভয় কেন? তৃণমূল কী ভূত?’, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান বিতর্কে কটাক্ষ দিলীপের]

প্রসঙ্গত, এর আগে ‘দিদিকে বলো’  কর্মসূচি চালু হয়েছিল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরে। সেই প্রকল্প বিপুল সাফল্যের মুখ দেখেছিল। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এল ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’।  এবং তা টিম পিকে-র মস্তিষ্কপ্রসূত নয়, তা তৃণমূলের নিজস্ব আইটি সেলের দেওয়া নাম।তৃণমূল স্তরে জনসংযোগে আরও জোর দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদল কীভাবে জয়ের ফসল ঘরে তোলে, সেটাই দেখার।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement