সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার কৃষকদের আর্থিক সাহায্যের কথা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কথা তিনি রাখলেন। ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পের আওতায় ৯ লক্ষ কৃষককে অর্থ সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো কাজ শুরু করে নবান্ন। কৃষকদের আর্থিক সাহায্যের এই বার্তা নিজেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ৩৫০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।
গত বছর রাজ্য একাধিক বার প্রতিকূল আবহাওয়ার কবলে পড়েছিল। দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার জলে প্লাবিত হয়। বিঘার পর বিঘা চাষের জমি বন্যার জলে ডুবে থাকে দীর্ঘ সময়। ধান-সহ অন্যান্য মরশুমি ফসল মাঠেই নষ্ট হয়েছিল। পুজোর আগে এই বন্যায় মাথায় হাত পড়েছিল কৃষকদের। প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সামনে পড়েছিলেন বাংলার কৃষকরা। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও কৃষকদের একই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী নিজে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন।
বছরের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে টুইট করলেন। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, "অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পের আওতায় আমরা বাংলার ৯ লক্ষ কৃষককে সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৩৫০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান শুরু করলাম। চলতি খরিফ মরসুমে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যে সকল কৃষকের চাষের ক্ষতি হয়েছিল, তাঁদের এই সহায়তা করা হচ্ছে। ফসলের বিমার জন্য কৃষকদের কোনও টাকাও দিতে হচ্ছে না। কারণ, আলু, আখ সহ সব ফসলের প্রিমিয়ামের পুরো টাকাই রাজ্য সরকার দেয়।"
মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, "এটা আমাদের গর্ব যে, ২০১৯ সালে চালু হবার পর থেকে কেবলমাত্র ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পেই আমাদের সরকার ১ কোটি ১২ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে মোট ৩ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করেছে। আমরা বরাবর বাংলার কৃষকদের পাশে ছিলাম, পাশে আছি, পাশে থাকব।"
বিপর্যয়ের পরে আর্থিক সাহায্যের কথা শুনে আশ্বস্ত হয়েছিলেন বাংলার কৃষকরা। সেই অর্থ এবার কৃষকদের কাছে পৌঁছনো শুরু হল।