নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: আগামী সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Bangladesh PM Sheikh Hasina) দিল্লি সফরের সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (CM Mamata Banerjee) আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের। হাসিনার সফরে তিস্তা চুক্তি, সীমান্ত সমস্যা ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা। এই সবক’টি বিষয়ের সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। তাছাড়া কয়েকদিন আগে খোদ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চিঠি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরে ভারত সফরের সময় তিনি মমতার সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে হাসিনার সফরের সময় দিল্লিতে (Delhi) আমন্ত্রণ করার কথা ভাবা হয়েছে।
তবে সূত্রের খবর, এখনও রাজ্য সরকারের কাছে এই ধরনের কোনও আমন্ত্রণ এসে পৌঁছয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের আমন্ত্রণ পেলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও দিল্লি সফরের কথা বিবেচনা করবেন। আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে অসম ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীদেরও। এমনিতে শেখ হাসিনা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক একেবারেই দিদি-বোনের মতো। পরস্পরের মধ্যে স্নেহ-শ্রদ্ধা-ভালবাসার এক স্বতঃস্ফূর্ত বন্ধন রয়েছে। সেই সম্পর্কের ভিত্তিতে দুই বাংলার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক এখনও অটুট। আর তাই এবারের ভারত সফরেও শেখ হাসিনা ‘ভগ্নিসম’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী।
[আরও পড়ুন: আসানসোল জেলে ঠাঁই অনুব্রতর, কেমন কাটল প্রথম রাত?]
প্রায় তিন বছর পর ভারতে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর তিনি দিল্লিতে পা রাখবেন। হাসিনার এই সফরে দু’দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা। যার মধ্যে অন্যতম নদী চুক্তি। তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা ছাড়াও ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া ৫৪ টি নদীর মধ্যে ৬ টি নদীর জলবণ্টন নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ।
[আরও পড়ুন: নাবালিকাকে মারধর, ধর্ষণ করে খুন দুই তুতো দাদার, বাধা দেওয়ায় ধর্ষিতা ঠাকুমাও]
হাসিনার এই ভারত সম্পর্ক একাধিক কারণে তাৎপর্যপূর্ণ, তার মধ্যে অন্যতম আগামী বছর বাংলাদেশের নির্বাচন (Election)। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাঁর মন্তব্য ছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ‘যা যা করা দরকার তা করার জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ’ জানিয়েছিলেন। তাঁর ওই মন্তব্য নিয়ে বাংলাদেশে শোরগোল পড়ে যায়। ওয়াকিবহাল মহলের মত, এবারের সফরে ভারত থেকে এমন কিছু নিয়ে ফিরতে চান, যা নির্বাচনী ময়দানে তাঁর সরকারকে বাড়তি মাইলেজ দেবে।