রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ১৪ মার্চ অর্থাৎ নন্দীগ্রাম দিবসের সকালে টুইটে শহিদদের শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। স্মরণ করলেন ২০০৭ সালের সেই দিনের স্মৃতি। এদিন নন্দীগ্রামে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির।
প্রতিবারই নন্দীগ্রাম দিবসে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও তার অন্যথা হয়নি। সোমবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে শহিদদের শ্রদ্ধা জানান। তিনি আরও লেখেন, “প্রতি বছর ১৪ মার্চকে কৃষক দিবস হিসাবে আমরা স্মরণ করি। নন্দীগ্রামের সেই সাহসী গ্রামবাসীকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই। ২০০৭ সালে পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিতে হয়েছিল অনেককে। এই দিনে তাঁদের এবং গোটা বিশ্বের কৃষকের প্রতি শ্রদ্ধা।”
[আরও পড়ুন: খড়দহে তৃণমূল কাউন্সিলরকে হত্যার নেপথ্যে ভাড়াটে খুনি! রাতারাতি গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত]
এদিকে ‘নন্দীগ্রাম দিবস’ পালন নিয়ে তালপাটি খাল সংলগ্ন এলাকায় পারদ চড়ছে ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নন্দীগ্রামের ভাঙ্গাবেড়ায় শহিদ মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে পালটা শহিদ মঞ্চ গড়ে তোলা হয়েছে অধিকারী পাড়ায়। দুই শিবিরের কর্মসূচিকে ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ‘ঝুঁকি’ এড়াতে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে দুই দলের কর্মসূচিকে ঘিরে যথেষ্ট ‘মাথাব্যথা’ রয়েছে পুলিশ প্রশাসনের। তৃণমূলের পক্ষে শহিদ মঞ্চে হাজির থাকার কথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, সাংসদ দোলা সেন, রাজ্য নেতৃত্ব পূর্ণেন্দু বসু ও সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের। পালটা হিসেবে গেরুয়া শিবিরের তরফে মঞ্চে হাজির থাকবেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের দাপুটে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হবে সভা, পালটা সভাও৷