ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বাঁকুড়া জেলা সংগঠনে বেশ কিছু রদবদল করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ শুক্রবার তৃণমূল ভবনে জেলাভিত্তিক বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন বাঁকুড়ায় দলের সাংগঠনিক নেতৃত্ব৷ খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিরস্কৃত হয়েছেন সেখানকার প্রাক্তন জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ, শম্পা দরিপা৷ সবচেয়ে বেশি ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী, প্রাক্তন জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ৷ বাঁকুড়ার যুব সভাপতি রাজীব ঘোষালের দায়িত্ব কেড়ে নিয়ে অন্য কাউকে নতুন পদে বসাবেন বলে সাফ জানিয়ে দিলেন দলের সুপ্রিমো৷
[আরও পড়ুন: খুনিদের দ্রুত শাস্তি হোক, বরুণ বিশ্বাসের মৃত্যুবার্ষিকীতে পথে নামলেন সুটিয়ার মানুষ]
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া জেলায় দলের ভরাডুবি হয়েছে৷ বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর – দুটি লোকসভা কেন্দ্রই গিয়েছে বিজেপির দখলে৷ তারপর থেকে গেরুয়া শিবিরে পা বাড়ানোর প্রবণতা দেখা গিয়েছে বহু তৃণমূল কর্মী, সমর্থকের মধ্যে৷ সূত্রের খবর, তা আটকাতেই এদিন তৃণমূল নেত্রী হুঁশিয়ারির সুরেই জানান, ‘বিজেপিতে যারা চলে গেছে, দলে তাদের জায়গা নেই৷ আমি নিখুঁত লোক নিয়ে সংগঠন করতে চাই৷ যাঁরা বিজেপিতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে, তাঁদের চিহ্নিত করুন৷ কারা টাকা নিয়েছে, তা চেক করুন৷’
এপ্রসঙ্গে অরূপ চক্রবর্তী এবং অরূপ খাঁ’র উদ্দেশে তিনি রীতিমত প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ‘তোমাদের এলাকায় এত ধস কেন? সকলে কেন বিজেপিতে চলে যাচ্ছে কেন?’ দলীয় নেতৃত্বের উদ্দেশে তাঁর আরও ভর্ৎসনা, মানুষের কাছে যাওয়া হয়নি৷ তাঁদের কথা, অভিযোগ শোনা হয়নি ঠিকমত৷ জনসংযোগে বড়সড় ত্রুটি ছিল৷ এবার থেকে তা করলে চলবে না৷ ফের নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে৷ এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, ‘বাড়ি বাড়ি যান, মানুষের সুখ-দুঃখের কথা শুনুন৷ সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে কি না, খবর নিন৷’
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় বিলগ্নিকরণের বিজ্ঞপ্তি, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন শ্রমিকরা]
বাঁকুড়া জেলা সংগঠনকে আগেই দু’ভাগে ভেঙে দিয়েছিলেন৷ বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর৷ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের চাঙ্গা করতে এদিন বেশ কয়েকটি দাওয়াই দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সকলের উদ্দেশে নেত্রী বলেন, ‘আমাদের যা ভুলত্রুটি আছে, তা সংশোধন করতে হবে৷ প্রয়োজনে সংগঠনে রদবদল ঘটাতে হবে৷ কাকে ভয় পাচ্ছেন? লড়াই করে চলুন৷ একুশের আমরা ফিরে আসব৷’ বাঁকুড়ার সাংগঠনিক সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল এবং বিষ্ণুপুরের সভাপতি শ্যামল সাঁতরাকে জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন৷ শুক্রবার তৃণমূল ভবনের এই বৈঠকে শামিল ছিল ঝাড়গ্রামও৷ সেখানকার দুই নেত্রী উমা সোরেন ও বীরবাহা সোরেনকে সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
The post ‘লড়াই চালিয়ে যান’, বাঁকুড়ার দলীয় নেতৃত্বকে ঘুরে দাঁড়ানোর টনিক মমতার appeared first on Sangbad Pratidin.