তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: স্ত্রী ও আড়াই বছরের কন্যাসন্তানকে ধারালো অস্ত্রের কোপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) স্বামী। রবিবার গভীর রাতে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে নকশালবাড়ি থানার অন্তর্গত জাবরা চা বাগান এলাকায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শিশুকন্যা-সহ ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তবে অভিযুক্তের স্ত্রী বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মৃত বছর বাইশের প্রদুন প্রজা, বেলগাছি চা বাগানের বাসিন্দা। মাত্র কয়েকবছর আগে ললিতা ওঁরাওয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। আড়াই বছর বয়সি একটি শিশুকন্যাও ছিল তাঁদের। ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে নিয়ে গত রবিবার নিজের শ্বশুরবাড়ি জাবরা চা বাগানে বেড়াতে যান। রাতে খাওয়াদাওয়ার পর তাঁরা সকলে একই ঘরে ঘুমিয়েও পড়েন। অভিযোগ, গভীর রাতে হঠাৎই প্রসূন ধারালো অস্ত্র বের করেন। নিজের স্ত্রী এবং মেয়েকে লাগাতার আঘাত করেন। শেষে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজেকে আঘাত করেন। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যাও করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: ফের চিড়িয়াখানায় আতঙ্ক! করোনা আক্রান্ত অন্তত ১৩টি গরিলা]
গভীর রাতে গ্রামবাসীরা আর্তনাদ শুনতে পান। ঘুমের ঘোর কাটিয়ে ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসেন। হাজারও ডাকাডাকিতে সাড়া পাননি কারও। দরজা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। মহিলা ও তাঁর শিশুকন্যাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরেই পড়ে থাকেন দেখেন তাঁরা। ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় গৃহকর্তাকে। তড়িঘড়ি জখমদের উদ্ধার করে নকশালবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে রাস্তাতেই মৃত্যু হয় শিশুটির। কিছুক্ষণ চিকিৎসা চলার পর মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তিরও। তাঁর স্ত্রী বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি। মহিলার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
কী কারণে ওই ব্যক্তি নিজের স্ত্রী ও কন্যাসন্তানকে ধারালো অস্ত্রের কোপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে নকশালবাড়ি থানার পুলিশ। ওই ব্যক্তির পরিজন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বিষয়টি বোঝার চেষ্টায় তদন্তকারীরা।