সুকুমার সরকার, ঢাকা: ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির (Molestation) করতেই পালটা আক্রমণে তাকে ধরাশায়ী হল অভিযুক্ত। ছাত্রীর চিৎকার শুনে আশেপাশের জনতা এসে তাকে ধরে ফেলেন। তারপর তাঁরাই সোজা থানায় গিয়ে ওই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেন। বাংলাদেশের (Bangladesh) শাহবাগ মোড়ের ঘটনা ঘিরে শোরগোল। ছাত্রীর সাহসিকতায় মুগ্ধ সকলে। অনেকেই বলছেন, মেয়েটি যেমন নিজের সম্মান বাঁচাল, তেমনই অন্যায়কারীকেও ধরিয়ে দিল।
শনিবার বেলার দিকে ঢাকার শাহবাগ (Shahbag) মোড় দিয়ে যাচ্ছিলেন এক কলেজ ছাত্রী। আচমকাই তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করে এক যুবক। তাঁকে শ্লীলতাহানিও করে বলে অভিযোগ। এরপরই ছাত্রী রুখে দাঁড়ায়। পালটা আক্রমণ করে ওই যুবককে ধরিয়ে দেন। এরপর তাকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে জনতা।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিপত্তি, ডিজিসিএ’র কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্য সরকারের]
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের নাম সাদ্দাম হোসেন। সে আসলে ভবঘুরে। তবে পুলিশের জেরার মুখে পড়ে নিজের বাড়ি কিশোরগঞ্জে বলে জানায় অভিযুক্ত সাদ্দাম। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মওদুত হাওলাদার জানিয়েছেন, শ্লীলতাহানির শিকার ছাত্রীটি একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের। বেলা ১১টার দিকে তিনি শাহবাগ মোড়ের ফুলের দোকানের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় সাদ্দাম নামের ওই যুবক পিছন থেকে এসে তাঁকে জাপটে ধরেন। ওই ছাত্রী পালটা চিৎকার করে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে লোকজন গিয়ে সাদ্দামকে আটক করে। পরে তাকে শাহবাগ থানায় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট যাওয়া যাবে না শৌচালয়ে, মাধ্যমিকে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কড়া পর্ষদ]
শাহবাগ থানা সূত্রে খবর, শ্লীলতাহানির অভিযোগে সাদ্দামের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। শ্লীলতাহানির শিকার ছাত্রী নিজে তাতে সাক্ষ্য দিতে চান বলে জানিয়েছে পুলিশ।