সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সর্বক্ষণ মদ্যপানে ডুবে থাকতেন। সেই জন্যই ১১ বার বিয়ে করলেও টেকেনি একটাও সম্পর্ক। স্বামীর মদ্যপানের স্বভাব মেনে নিতে পারেননি কেউই। তবে ১২ তম স্ত্রী মেনে নিয়েছিলেন। মদ্যপ স্বামীর সঙ্গে প্রায় ২০ বছর ধরে সংসারও করেছেন। কিন্তু মদ্যপানের প্রতিবাদ করেই স্বামীর হাতে খুন হলেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) গিরিডির এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন ৫০ বছর বয়সি ওই মদ্যপ ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম রামচন্দ্র তুরি। গিরিডির তারাপুর গ্রামের বাসিন্দা রামচন্দ্রের প্রতিবেশীদের দাবি, সব মিলিয়ে মোট ১১বার বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু অত্যধিক মদ্যপান ও তারপরে মারধর করার স্বভাব ছিল তাঁর। সেই কারণেই ১১ জন স্ত্রীর প্রত্যেকেই সংসার ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। অবশেষে ২০ বছর আগে সাবিত্রী দেবীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। চারটি সন্তানও রয়েছে এই দম্পতির।
[আরও পড়ুন: শুভেচ্ছা বা অভিনন্দন নয়, বলুন শুভনন্দন! নতুন শব্দ শেখালেন মুখ্যমন্ত্রী]
চার সন্তানের মধ্যে একজন হায়দরাবাদে কর্মরত। গত সোমবার একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিল রামচন্দ্রের তিন সন্তান। সেই সময়েই মদ্যপ হয়ে বাড়িতে ফেরেন রামচন্দ্র। ফিরেই আবারও মদ্যপান শুরু করেন তিনি। বাধা দিতে গেলে স্ত্রী সাবিত্রীর সঙ্গে তুমুল কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। তারপর রাগের মাথায় লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করেন স্ত্রী সাবিত্রীকে।
ঘটনাটি আন্দাজ করতে পেরেই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় সাবিত্রীকে উদ্ধার করলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিনয় কুমারের দাবি, এর আগে ১১ বার বিয়ে করেছিলেন অভিযুক্ত। যদিও পুলিশের তরফে এই বিষয়টি নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। আপাতত গ্রেপ্তার করা হয়েছে রামচন্দ্রকে।